ছবি সংগৃহীত

কোন রাশির পুরুষ কেমন?জেনে নিন জ্যোতিষীর দৃষ্টিতে! (দ্বিতীয় পর্ব)

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৬:১৯
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৬:১৯

নারীদের প্রিয় এবং প্রচলিত একটি উক্তি হলো, “সব পুরুষই এক!” কিন্তু আসলেই কি তাই? সব পুরুষকে একই দৃষ্টিতে দেখা যাবে না। তাদের সবার চরিত্রে রয়েছে বৈচিত্র্য। আর সব পুরুষের মন যে এক নয়, তা বলাই বাহুল্য। পুরুষ বলেই যে তার মাঝে রহস্য থাকবে না, এমনটা চিন্তা করবেন না মোটেই। কিন্তু কি করে জানবেন একজন পুরুষ কি চিন্তা করছে? আপনার প্রতি তার আচরণ কেমন হতে পারে, সেটাই বা জানবেন কি করে? জানার উপায় হলো তার রাশি। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা। কিন্তু রাশির ওপর ভিত্তি করে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বে দেখা যেতে পারে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য আবার লিঙ্গ ভেদে আলাদা হয়। যেমন মেষ রাশির নারী যে কাজটি করবে, একই রাশির পুরুষ হয়তো সেই কাজটি করবে না। এই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে দেখে নিন কোন রাশির পুরুষ কেমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন।

তুলা ( সেপ্টেম্বর ২৩- অক্টোবর ২২)

শুধু নিজের জন্য নয়, বরং অন্য সবার জন্য সবসময় চিন্তা করে থাকেন তুলা রাশির পুরুষ। সবাইকেই খুশি রাখতে চান তিনি। তিনি হয়ে থাকেন শান্তিপ্রিয় এবং সবার মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করেন। সবদিক চিন্তা করার কারণে তিনি দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু যখন তিনি সিদ্ধাত নিয়ে ফেলেন তবে সেটা মেনে চলাই উত্তম। যে কোনও পরামর্শের জন্য তুলা রাশির বন্ধুটির সাহায্য নিতে পারেন আপনি। তিনি কোনও রকমের পক্ষপাতিত্ব দেখাবেন না। তুলা রাশির পুরুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। সুন্দর কোনও বস্তু, ঝকঝকে নতুন একটি গাড়ি বা নতুন মডেলের ফোন- এ সবই তার পছন্দ। সুন্দর মানুষও তিনি ভালবাসেন। আরও ভালবাসেন সাহিত্য। সভ্য ও রুচিশীল পুরুষের সব গুণই আপনি খুঁজে পাবেন তার মাঝে।

বৃশ্চিক (অক্টোবর ২৩- নভেম্বর ২১)

বৃশ্চিক রাশির পুরুষকে তুচ্ছ করে দেখবেন না কখনোই। অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণত মাথা ঘামান না তিনি। “সিরিয়াস” ধরণের এই মানুষের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে রয়েছে শুধুই ভালো এবং শুধুই খারাপ, এই দুইয়ের মাঝামাঝি কিছু নেই। তিনি একা একা থাকতে পছন্দ করেন। সোজাসাপ্টা প্রশ্ন করতে তার জুড়ি নেই। আর এই প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করার ব্যাপারেও তিনি সতর্ক। বৃশ্চিক পুরুষ নিজের ভাগ্য নিজে গড়ে নেওয়ায় বিশ্বাসী। তিনি নিজের জীবনটাও পরিচালনা করে চলেন নিজের নিয়মে। যুদ্ধে একবার হেরে গেলেও তিনি চেষ্টা করে যান বারবার। স্বাধীনচেতা, নির্ভীক, কঠোর পরিশ্রমী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই পুরুষ সহজেই জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন। নিজের জীবনের ব্যাপারে অন্য কাউকে জানাতে পছন্দ করেন না তিনি, পছন্দ করেন প্রাইভেসি। খুব দ্রুত তার কাছের মানুষ হয়ে যাবার আশা বা চেষ্টা কোনটাই করবেন না। তিনি এমন এক পুরুষ যাকে পোষ মানানো যায় না। বেশ মেজাজি হয়ে থাকেন তারা, কষ্ট পেলে তার স্মৃতি মনে রাখেন বহুদিন। কিন্তু সময় নিয়ে তাকে জানার চেষ্টা করলে দেখতে পাবেন, আপনার জীবনের সবচাইতে স্পর্শকাতর এবং জ্ঞানী মানুষটি সম্ভবত তিনিই।

ধনু (নভেম্বর ২২ থেকে ডিসেম্বর ২১)

জীবনের পথে কখনই স্থির হয়ে থাকে না ধনু পুরুষ, তারা সর্বদাই ভ্রমণরত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা পথভোলা। সত্য, সৌন্দর্য এবং জ্ঞানের অন্বেষণেই তাদের এই ভ্রমন। এ কারণে ব্যক্তি হিসেবে তাদেরকে অনেকটা ছাড় দিতে হয়। সম্পর্কের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখতে গেলে তারা নিজেদের বন্দি মনে করেন এবং শৃঙ্খল ভেঙে চলে যান। কিছুটা দার্শনিক মনোভাবের ধনু সবকিছু চিন্তা করে গভীরভাবে। তিনি অন্যের কথা মন দিয়ে শুনতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন খুব বেশি দ্রুত। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতিতে তারা থাকতে পারেন আশাবাদী।

মকর ( ডিসেম্বর ২২- জানুয়ারি ১৯)

মকর পুরুষকে দেখে যতই শান্তশিষ্ট এবং চুপচাপ মনে হোক, এই বাহ্যিক রূপ দেখে ভুল করবেন না মোটেও। তার চিন্তাভাবনা চলছে ঝড়ের গতিতে। জীবনে যতই বাধা আসুক, ধীরস্থিরভাবে তা ভেঙে ফেলেন মকর পুরুষ। এ কারণে তাকে হতে দেখা যায় বদ্ধপরিকর এবং একই সাথে কঠোর পরিশ্রমী। অধ্যাবসায় হলো তার সবচাইতে বড় গুণ। বেশিরভাগ সময়ে সাফল্য অর্জনের দিকে মন থাকে এই পুরুষের। এ কারণে তার ব্যক্তিত্বে দেখা যায় প্রচ্ছন্ন পরিপক্কতা। তিনি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না, ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন।

কুম্ভ (জানুয়ারি ২০- ফেব্রুয়ারি ১৮)

প্রথম দেখায় আন্তরিক মনে হবে কুম্ভ রাশির পুরুষকে। কিন্তু তাতে মনে করবেন না তিনি একেবারেই নরম-সরম। তার হাসিখুশি মুখের পেছনে কাজ করছে প্রখর বুদ্ধিমত্তা। নিজের পক্ষে যতটা সম্ভব, পৃথিবীতে ততটাই ভালো কজ করে রেখে যেতে চান তিনি, আর সেটা করেনও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। অদ্ভুত কিছু অভ্যাস থাকতে পারে তাদের। জলের মতোই পরিবর্তনশীল তাদের প্রকৃতি। কখনো হয়ে থাকেন অসম্ভব রকমের একগুঁয়ে। কুম্ভ পুরুষের অনেক বন্ধু থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি খুব খোলামেলা। বেশিরভাগ সময়েই বন্ধুরা ঠিক জানেন না তিনি আসলে কেমন। তার অনুভূতি হতে পারে লুকানো, তার প্রতিক্রিয়া জটিল। তার একেবারে কাছের মানুষ হয়ে ওঠা খুবই কঠিন, এবং তা করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে নেবেন।

মীন (ফেব্রুয়ারি ১৯- মার্চ ২০)

মীন রাশির পুরুষের মাঝে অন্যান্য রাশির বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ দেখা যায়। পৃথিবীর দিকে খুব বেশি নজর থাকে না তার। তার মানে এই, যে তিনি সবকিছুর অন্তর্নিহিত দিকের প্রতি বেশি খেয়াল করেন। আত্মিক চিন্তাভাবনা করে থাকেন প্রায়শই। মীন পুরুষের সাথে কথা বলার সময় আপনার মনে হতে পারে আপনি দুইজন আলাদা মানুষের সাথে কথা বলছেন। অথব এমন একজন আছে আপনার সামনে যার মন পড়ে আছে দুইটি আলাদা জগতে। মুহূর্তেই গোল্ডফিশ আবার মুহূর্তেই হাঙ্গর হয়ে উঠতে পারেন তিনি! বাইরে থেকে তাকে শান্ত মনে হলেও ঠিক সেই মুহূর্তে হয়তো তার মাঝে চলছে তীব্র অনুভুতির খেলা। তাকে মনে হতে পারে রহস্যময়, কারণ তার মনে কি চলছে সেটা অনেক সময়েই অন্যদের জন্য, এমনকি তার নিজের জন্যেও দুর্বোধ্য। সাধারণত নিজেদের এই বিচিত্র সব অনুভূতি তারা প্রকাশ করে থাকেন শিল্প-সাহিত্যের মাধ্যমে এবং সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে অন্যান্য রাশির চাইতে মীন পুরুষ বেশি সফল হয়ে থাকেন।