ছবি সংগৃহীত

কুমড়ো বীজের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারিতা

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০৪:৪৮
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০৪:৪৮

কখনো কুমড়ো বীজ খেয়েছেন? অনেকেই হয়তো ভাবছেন এটা তো ফেলে দেয়ার জিনিস, এটা আবার খায় কিভাবে! কুমড়ো বীজ বেশ মজাদার এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। কুমড়ো ঠিক মতো পাকার পর এর বীজ গুলো বেশ বড় হয় এবং খেতেও বেশ মজা লাগে। কুমড়ো বীজ রোদে শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও শুকনো করে ভেজেও খাওয়া যায় এই মজাদার বীজটি। এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজে রয়েছে ৫৫৯ ক্যালোরি, ৫৯ গ্রাম ফ্যাট, ৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৮০৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। আসুন জেনে নেয়া যাক কুমড়ো বীজের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারীতাগুলো।

স্বাস্থ্য উপকারিতা

কোলেস্টেরলঃ কুমড়ো বীজে আছে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। নিয়মিত মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত কুমড়ো বীজ খেলে রক্তের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কুমড়ো বীজ গুলো ফেলে না দিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিন। কিডনির পাথরঃ নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে কিডনির পাথর ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। এছাড়াও কিডনির পাথর হওয়াও রোধ করে কুমড়ার বীজ। মিনারেল ও ফাইবারঃ কুমড়ো বীজ একটি পুষ্টিকর খাবার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও ফাইবার আছে। মিনারেল ও ফাইবার শরীরের জন্য খুবই দরকারী দুটি উপাদান। এগুলো শরীরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রোস্টেট কে রক্ষা করেঃ কুমড়ো বীজে ফাইটেস্টেরল আছে যা প্রোস্টেটকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে প্রোস্টেট জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সৌন্দর্য উপকারিতা

বলিরেখা কমায়ঃ নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে ত্বকের বলিরেখা ধীরে ধীরে কমে আসে। এছাড়াও কুমড়ো বীজে উপস্থিত মিনারেল চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বকের লাবন্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ব্রণের সমস্যাঃ কুমড়ো বীজে আছে সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক। এই দুটি উপাদান ত্বকে ব্রণের উপদ্রব দূর করতে সহায়ক। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কুমড়ো বীজ খান। ত্বকের ক্যান্সারঃ কুমড়ো বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই আছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই ত্বককে ক্ষতিকর উপাদান ও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির থেকে বাঁচিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। চুল ও নখঃ কুমড়োর বীজে আছে ভিটামিন এ, ওমেগা ৩ ও ভিটামিন ই। এই উপাদান গুলো ত্বক ভালো রাখে এবং চুল মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়াও নখের স্বাস্থ্যের জন্যো কুমড়োর বীজ একটি উপকারী খাবার। ত্বকের রঙঃ নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কুমড়োর বীজের জুড়ি নেই।