ছবি সংগৃহীত

ইসলামের দৃষ্টিতে বন্ধু নির্বাচনের নীতিমালা

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৪, ০০:০৩
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪, ০০:০৩

বন্ধু দিবসের শুরু যেভাবে ইতিহাস মতে বন্ধু দিবসের শুরু হয় ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯৩৫ সালে আমেরিকান সরকারের কারণে একজন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। আর এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঠিক তার পরদিন সেই ব্যক্তির বন্ধুটি আত্মহত্যা করেন। ১৯৩৫ সালের সেই দিনটি ছিল আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার। প্রিয় বন্ধুর জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার এই ঘটনাটি সেই সময় পুরোবিশ্বে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করে। এরপর আমেরিকান কংগ্রেস বন্ধুত্বের এই নজিরবিহীন আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে আগস্টের প্রথম রবিবারকে ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন। তাৎক্ষণিক ভাবেই বেশকটি দেশ এই ‘বন্ধু দিবস’কে স্বীকৃতি দিয়ে দেন। এভাবেই শুরু হয় বন্ধু দিবসের প্রচলন। এরপর ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বেই এই দিবসটি পালিত হতে থাকে বেশ উৎসাহের সাথেই। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের ছোট্ট একটি পদক্ষেপ বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। ১৯৯৭ সালের বন্ধু দিবসে জাতিসংঘ জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র উইনি দ্যা পুহকে বন্ধুত্বের বিশ্বদূত হিসেবে নির্বাচন করে। বন্ধুত্ব মানবজীবনের অপরিহার্য একটি বিষয় সামাজিক জীব মানুষ বন্ধু ছাড়া থাকতে পারে না। বন্ধু ও বন্ধৃত্ব সমাজজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মানুষ সামাজিক জীব। সুতরাং একজন সামাজিক জীবের পক্ষে কখনোই বন্ধুহীন থাকা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া দরকার। মানবজীবেনর অন্য বিষয়বস্তুর মতো এ বিষয়টির ব্যাপারেও ইসলাম দিকনিদের্শনা দিয়েছে এবং ভালো, সৎ ও দ্বীনদ্বার বন্ধু নির্বাচন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। কে হবে আপনার বন্ধু? একজন মুমিন-মুসলমান হিসেবে বন্ধু নির্বাচন করা এবং বন্ধু হওয়ার জন্য কী কী গুণের প্রয়োজন, এসব ব্যাপারে ইসলাম আমাদের বেশ ভালো পরামর্শ দিয়েছে। বন্ধু গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিনরা যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে। যারা এমনটি করবে, আল্লাহ তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।’ [আলে ইমরান-২৮] আলোচ্য আয়াতটির মধ্যে যেমন বন্ধু নির্বাচনের নীতিমালা বর্ণিত হয়েছে, তেমনি ফুটে উঠেছে কাফেরকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করার ভয়াবহ পরিণামের চিত্র। ভালো কিংবা মন্দ বন্ধু গ্রহণ করার পরিণাম বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল [সা.] বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যার সঙ্গে যার বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে, পরকালে তাদের সঙ্গেই তার হাসর-বিচার হবে।’ বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালি [রহ.] বলেছেন, ‘সবাইকে বন্ধু নির্বাচন করা যাবে না; বরং তিনটি স্বভাব যার মাঝে বিদ্যমান, এমন লোককে বন্ধু নির্বাচন করা চাই। তিনটি গুণ হলোÑ এক. বন্ধুকে হতে হবে জ্ঞানী, বিচক্ষণ। দুই. বন্ধুর চরিত্র হতে হবে সুন্দর ও মাধুর্যময়। তিন. বন্ধুকে হতে হবে নেককার, পূণ্যবান।’ বন্ধুত্বও হতে পারে একটি ইবাদত মুমিনের সব কাজই আমল-ইবাদত। কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করাও একজন মুমিনের নাজাতের উসিলা হতে পারে। রাসুল [সা.] বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে কাউকে ভালোবাসল, একমাত্র তার জন্যই কাউকে ঘৃণা করল, তারই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাউকে দান করল এবং তা থেকে বিরত থাকল; তবে নিঃসন্দেহে সে নিজ ইমানকে পূর্ণতা দান করল।’ [আবু দাউদ] বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে জগদ্বিখ্যাত কবি আল্লামা শেখ সাদি [রহ.] বিখ্যাত উক্তি দিয়েছেন, ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ একজন ভালো বন্ধু যেমন মানুষের জীবনের গতি পাল্টে দিতে পারে, তেমনি একজন অসৎ বন্ধুর কারণে জীবন হয়ে যেতে পারে অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম প্রদর্শিত নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে। এতে একদিকে যেমন নানাবিধ সমস্যা ও ভোগান্তি থেকে বেঁচে থাকা যাবে, অন্যদিকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল [সা.]-এর পথ অনুসরণ করার সাওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো ও নেক বন্ধু নির্বাচনের তাওফিক দান করুন। আমিন। সত্যিকারের বন্ধু ও বন্ধুত্ব হজরত আলী [রা.] এক কবিতায় বলেন, ‘সেই তোমার সত্যিকার বন্ধু যে তোমার সঙ্গে থাকে, তোমার কল্যাণের জন্য নিজের ক্ষতি করে। দৈব-দুর্বিপাকে পড়ে তোমার অবস্থা শোচনীয় হলে সে নিজের সুখ বির্সজন দিয়ে তোমাকে সুখ দান করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ বন্ধু অবশ্যই বানাও। কারণ বন্ধু দুনিয়াতেও উপকারে আসে এবং আখেরাতেও।’ হজরত ইমাম জাফর সাদেক [র.] বলেন, পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গ [বন্ধুত্ব] অবলম্বন করো না। মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, কৃপণ, কাপুরুষ ও ফাসেক ব্যক্তি। বন্ধুত্ব তৈরি মানুষের স্বভাবজাত প্রবণতা। তাই বন্ধুত্বের ব্যাপারে ইসলামে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বন্ধু তো বানাতে হবে তাই বলে তো যাকে তাকে বন্ধু বানানো যায় না। কারণ, জীবনে বন্ধুর প্রভাব পড়ে। একজন ভালো বন্ধু একজন খারাপ মানুষকে ভালো বানাতে সাহায্য করতে পারে পক্ষান্তরে খারাপ বন্ধু একজন ভালো মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অধঃপতনের অতল গহ্বরে। কোরান-হাদিসের দিক-নির্দেশনা কোরআন ও হাদিসে বন্ধু নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা রয়েছে- সূরা তাওবায় আল্লাহ বলেন, ‘আর মহান হজের দিনে আল্লাহ ও তার রাসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়িত্বমুক্ত এবং তার রাসূলও।’ সুতরাং প্রতিটি মোমিনের ওপর আবশ্যক হলো কাফের-মুশরেকদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা। কেননা তিনি আরও বলেন, ‘হে মোমিনরা! তোমরা ইয়াহুদি ও নাসারাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরে বন্ধু।’ এ প্রসঙ্গে রাসূল [সা.] বলেছেন, ‘সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গের উপমা হলোÑ মিশকের বাহক ও হাঁপড় ব্যবহারকারী কামার। একজন মিশকের বাহক হয়তো তোমাকে সুগন্ধি প্রদান করবে অথবা তার থেকে কিছু মিশক ক্রয় করবে। তবে তুমি অবশ্যই সুগন্ধি লাভ করবে। একজন কামারের হাঁপড়ে হয়তো তোমার পোশাক ছিঁড়ে যাবে কিন্তু তুমি দুর্গন্ধ পাবে।’ আমিরুল মুমেনিন হজরত আলী [আ.] থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি চিন্তাভাবনা করে যথাযথ বিচার-বিশ্লেষণ করে বন্ধু নির্বাচন করবে, তাদের বন্ধুত্ব বজায় থাকবে এবং তাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হবে।’ হঠাৎ করে কারও সঙ্গে পরিচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ কোনোরকম বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে অনেক সময় দুঃখজনক পরিণতি ঘটতে পারে। বন্ধু এমন একটি সম্পর্ক যা নির্বাচন করে হয় না। যাকে মন থেকে পছন্দ হয় তারাই হয় একজন আরেকজনের পরম বন্ধু। কিন্তু যদিও বন্ধু নির্বাচন করে হয় না তার পরও এর প্রভাব কিন্তু নির্বাচিত। একজন বন্ধুর প্রভাবে একজন মানুষ নিজেকে তার প্রতিচ্ছবি হিসাবেও দেখতে পছন্দ করে। হাজারো উপমা রয়েছে এমন, যে বন্ধুর জন্য নিজের জীবনকেও বাজি রাখতে দ্বিধা করে না মানুষ। ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর বৈশিষ্ট্য ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। এই বিবেকবান বন্ধু সদুপদেষ্টা হয় এবং তার ওপর সব সময় আস্থা রাখা যায় কেননা এ ধরনের বন্ধু ভুলত্রুটি থেকে ফিরিয়ে রাখে। আলী [আ.] বলেছেন, বিবেকবান বন্ধুর সাহচর্য অন্তরাত্মাকে প্রাণচাঞ্চল্য দান করে। পক্ষান্তরে অজ্ঞ এবং মূর্খ বন্ধু কারও কোনো উপকার তো করেই না বরং তার কথাবার্তা আর আচার-আচরণ অন্যদের বিরক্তি আর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বন্ধুত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার হচ্ছে অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদেও বন্ধুত্ব অটুট রাখা। লোকমান হাকিম বলেছেন, ‘প্রয়োজনের মুহূর্ত ছাড়া বন্ধুকে চেনা যায় না।’ একজন ভালো বন্ধু পাওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাঝে কোনো ধরনের স্বার্থ কিংবা প্রাপ্তির চিন্তা মাথায় না রাখা। আমাদের উচিত হবে জীবনের এই উজ্জ্বল সময়ে যাকে তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাত্র জীবনে বন্ধু হওয়া উচিত, সৎ, বুদ্ধিমান, মেধাবী, ধৈর্যশীল, চরিত্রবান, ধার্মিক, সুন্দর মনের অধিকারী, পরোপকারী ও নিরলস। একজন ভালো বন্ধুই পারে পাল্টে দিতে আপনার জীবন, পরিবারের জীবন এমনকি সমগ্র জাতির জীবন। এই হোক বন্ধুর প্রতি বন্ধুর প্রত্যাশা। বন্ধুত্ব মানবজীবনের অপরিহার্য একটি বিষয়। সামাজিক জীব মানুষ বন্ধু ছাড়া থাকতে পারে না। বন্ধু ও বন্ধৃত্ব সমাজজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মানুষ সামাজিক জীব। সুতরাং একজন সামাজিক জীবের পক্ষে কখনোই বন্ধুহীন থাকা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া দরকার। মানবজীবেনর অন্য বিষয়বস্তুর মতো এ বিষয়টির ব্যাপারেও ইসলাম দিকনিদের্শনা দিয়েছে এবং ভালো, সৎ ও দ্বীনদ্বার বন্ধু নির্বাচন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। কে হবে আপনার বন্ধু? একজন মুমিন-মুসলমান হিসেবে বন্ধু নির্বাচন করা এবং বন্ধু হওয়ার জন্য কী কী গুণের প্রয়োজন, এসব ব্যাপারে ইসলাম আমাদের বেশ ভালো পরামর্শ দিয়েছে। বন্ধু গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, মুমিনরা যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে। যারা এমনটি করবে, আল্লাহ তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। [আলে ইমরান-২৮] আলোচ্য আয়াতটির মধ্যে যেমন বন্ধু নির্বাচনের নীতিমালা বর্ণিত হয়েছে, তেমনি ফুটে উঠেছে কাফেরকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করার ভয়াবহ পরিণামের চিত্র। ভালো কিংবা মন্দ বন্ধু গ্রহণ করার পরিণাম বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল [সা.] বলেছেন, পৃথিবীতে যার সঙ্গে যার বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে, পরকালে তাদের সঙ্গেই তার হাসর-বিচার হবে। বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালি [রহ.] বলেছেন, সবাইকে বন্ধু নির্বাচন করা যাবে না; বরং তিনটি স্বভাব যার মাঝে বিদ্যমান, এমন লোককে বন্ধু নির্বাচন করা চাই। তিনটি গুণ হলো- এক. বন্ধুকে হতে হবে জ্ঞানী, বিচক্ষণ। দুই. বন্ধুর চরিত্র হতে হবে সুন্দর ও মাধুর্যময়। তিন. বন্ধুকে হতে হবে নেককার, পূণ্যবান। মুমিনের সব কাজই আমল-ইবাদত। কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করাও একজন মুমিনের নাজাতের উসিলা হতে পারে। রাসুল [সা.] বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে কাউকে ভালোবাসল, একমাত্র তার জন্যই কাউকে ঘৃণা করল, তারই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাউকে দান করল এবং তা থেকে বিরত থাকল; তবে নিঃসন্দেহে সে নিজ ইমানকে পূর্ণতা দান করল। [আবু দাউদ] বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে জগদ্বিখ্যাত কবি আল্লামা শেখ সাদি [রহ.] বিখ্যাত উক্তি দিয়েছেন, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। একজন ভালো বন্ধু যেমন মানুষের জীবনের গতি পাল্টে দিতে পারে, তেমনি একজন অসৎ বন্ধুর কারণে জীবন হয়ে যেতে পারে অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম প্রদর্শিত নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে। এতে একদিকে যেমন নানাবিধ সমস্যা ও ভোগান্তি থেকে বেঁচে থাকা যাবে, অন্যদিকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল [সা.]-এর পথ অনুসরণ করার সাওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো ও নেক বন্ধু নির্বাচনের তাওফিক দান করুন। আমিন। মাওলানা মিরাজ রহমান