ছাত্রলীগ নিজস্ব ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে যাবে কি না সিদ্ধান্ত ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের হাতে

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১০

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ নিজস্ব ব্যানারে যাবে, নাকি আওয়ামী লীগের শরিকদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোয়াশা। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে না ছাত্রলীগ সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণ করবে এ সিদ্ধান্ত ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের হাতে। জানা গেছে, গত শনিবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতারা গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একটি মনোনয়ন বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা দেন। এ বোর্ড ছাত্রলীগ প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) ও জেনারেল সেক্রেটারি মনোনীত করবে। আর ডাকসু নির্বাচন মনিটরিং করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ তাদের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে। তাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় একটি জোট রয়েছে। এই জোটের শরিকদলগুলোর ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন রয়েছে। তাই ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের বৈঠক আগামী দুই একদিনের মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে। সঙ্গত কারণে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে ছাত্রলীগ নিজস্ব ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না।বাম দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান রয়েছে। তারাও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না সে সিদ্ধান্ত আসবে আগামী মঙ্গলবার সিন্ডিকেট কমিটির সভায়। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন প্রগতিশীল ছাত্রজোট জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে না গেলেও তারা নিজস্ব ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে একটি প্যানেল বোর্ড হবে। এটির সমন্বয়ক হবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। ওই বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হবেন ডাকসুর সভাপতি প্রার্থী। যেহেতু ছাত্রলীগ সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন। সেক্ষেত্রে সরকারি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ শরিকদলগুলোর ছাত্র সংগঠনের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ নামে একটি ছাত্র সংগঠন রয়েছে। তাই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে ছাত্রলীগ নিজস্ব ব্যানারে, নাকি জোটবদ্ধভাবে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ সম্পর্কে জাসদ (ইনু) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পাল বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে জাসদ ছাত্রলীগ প্রস্তুত রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ ৯টি সংগঠন নিয়ে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ রয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সভা হবে। ওই সভায় নির্ধারণ হবে জাসদ ছাত্রলীগের ব্যানারে নির্বাচনে যাবো, নাকি জোটবদ্ধভাবে। আর জোটবদ্ধভাবে গেলেও সেখানে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে।  এ সম্পর্কে জাসদ (আম্বিয়া) ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত বলেন, জাসদ ছাত্রলীগের প্যানেলে ডাকসু নির্বাচনে যাওয়ার সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আমরা কি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি না। জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে আসার ঘোষণার মাধ্যমে এবার নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গড়ে ওঠা সংগঠন  ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আরেক প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের নেতাদের ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা নির্বাচনে একটি বড় প্রভাব রাখতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও