স্থায়ী ক্যাম্পাসের অভাবে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত
মোহাম্মদ মাসুদ : পিছিয়ে পড়া পাহাড়ের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটিতে স্থাপিত হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আঞ্চলিক দলগুলোর নানান বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা না পাওয়ায় শহরের শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ১০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় কম্পিউটারসাইন্স ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম। সূএ: সময় টিভি।৪টি ব্যাচে ভর্তি হওয়ার পরও নিজেদের ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় হতাশ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের এক শিক্ষার্থী জানান, কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাএ হিসেবে আমার একটা চাওয়া থাকতে পারে, আমরা ভাল একটা ল্যাব পাব, সেই ল্যাবে ভাল ফ্যাসিলিটি থাকবে। অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, ভার্সিটিতে আলরেডি চারটা ব্যাচ চালু হয়ে গিয়েছে যদিও এখানে ক্লাসের সংখ্যা খুবই কম, এমনকি ল্যাব সংখ্যাও কম। একটা ল্যাবে ল্যাবও হয় আবার ক্লাসও হচ্ছে। তারপর শিক্ষকের সংকটও আছে। ভাড়া কারা একটি কক্ষে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা এখানে অনেক ফ্যাসিলিটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের ক্যান্টিন নেই ভালো একটা লাইব্রেরি নেই, আমাদের লাইব্রেরি দেখতে স্কুল লাইব্রেরি থেকেও ছোট।বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস এবং ভাড়া ভবনেই চলছে ছাত্রী হোস্টেলের কার্যক্রম। প্রত্যেক ব্যাচের ছাত্রীরা এখানে থাকতে পারছে না, যারা প্রথমে এসেছে তারা সিট পেয়েছে, যারা বাইরে থেকে এসেছে তারা নিজেরা নিজেদের ব্যবস্থা করে থাকছে। আরা যারা আছেন তারা অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছে।রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেদন্দু বিকাশ চাকমা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে নিজের অসোন্তষ জানিয়ে বলেন, আমরা সব ভাড়া বাসাতে স্কুলের ক্লাস নিচ্ছি, এই অসুবিধাটা যেন আমরা খুব দ্রæত দূর করতে পারি এজন্য আমরা টেম্পরারি স্ট্রাকচারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।