বিনিয়োগের উত্তম জায়গা বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৭

বাংলা ট্রিবিউন : আ হ ম মুস্তফা কামাল (ফাইল ছবি)বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উত্তম জয়গা বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে; আর লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে। এ দেশ বিনিয়োগের উত্তম জায়গা। আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার মতো জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়।’সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-কোইকা’র প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং। এসময় তাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে কোইকা খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে, কেননা বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাংলাদেশ দিনে দিনে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সব খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোরিয়া- ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে এক ঘণ্টা ৫ মিনিট লাগবে। এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রুপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। একদিক আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য ও অন্যদিক দেশের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’এসময় কোইকা’র প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরবো, যাতে বিনিয়োগকারীরা এদেশে আসেন।’ এসময় বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখান তিনি।কোইকা’র প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একসময় কোরিয়াতেও যানজটসহ নানা সমস্যা ছিল। এসব সমস্যা সমাধানযোগ্য। আমি দেশে ফিরে যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবো।’লি মি-কিউং জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। চলমান প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে কোইকার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙালিরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও, আশা করছি, এই সমস্যার সমাধান হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও