সরকারি পদক্ষেপের ঘাটতি কৃষি খাতের সংকটকে আরো গভীর করেছে
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম দেশের কৃষি অর্থনীতির গভীর কাঠামোগত দুর্বলতাকে আবারো সামনে এনেছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো এ মূল্যবৃদ্ধি চালের দামের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রবণতার সম্পূর্ণ বিপরীত। বিশ্ববাজারে ২০১৭ সালের পর চালের দাম সর্বনিম্ন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে চালের গড় দাম প্রায় ৩১ শতাংশ কমে গেলেও দেশে তা সর্বোচ্চ পর্যায়েই অবস্থান করছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের শুরুতে মোটা চাল প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো, কিন্তু এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে দাম বাড়তে থাকে। বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার টন এবং জুলাই থেকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আরো ৫ লাখ টন চাল আমদানি করলেও দাম কমেনি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে চালের দামে বৈষম্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আমাদের মূল সমস্যা মূল্যেই আটকে নেই। এর বিস্তার উৎপাদন থেকে শুরু করে খোলা বাজারে বিক্রি, সব ক্ষেত্রেই বিদ্যমান।