১০০ বছর পরও ববি পিনের জনপ্রিয়তা কমেনি কেন
বিক্রি হয় ডজন ধরে অথচ কখনো কখনো শুধু একটাতেই হয়ে যায় কাজ। কিন্তু মুশকিল হলো, ঠিক কাজের সময়েই দরকারি এই জিনিসটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বলছি নারীদের চুল বাঁধার অন্যতম অনুষঙ্গ ববি পিনের কথা। উড়তে থাকা চুল বাগে আনতে কিংবা খোঁপায় ফুল গুঁজতে ববি পিনের জুড়ি মেলা ভার। অবশ্য রহস্য-রোমাঞ্চ গল্প–সিনেমায় ববি পিন তালা খোলার কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে অনেক। তাই নারীদের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদেরও এই কাজের জিনিসটি ভালোভাবেই চেনার কথা।
যেভাবে এল ‘ববি পিন’
‘বব হেয়ারকাট’ থেকে ববি পিন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ১৯২০–এর দশকে নারীরা চিবুক পর্যন্ত লম্বা চুল রাখতে শুরু করেন। তখন ছোট করে চুল কাটা ছিল রীতিমতো বিপ্লবী সিদ্ধান্ত। ভিক্টোরিয়ান হেয়ারস্টাইলের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী ঘোষণা। সেই সময়ের মেয়েদের একটা বিশেষ অংশকে বলা হতো ‘ফ্ল্যাপার’। সে সময়ের সামাজিক নিয়মকানুন, আচার এবং নারীত্বের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ফ্ল্যাপাররা। পশ্চিমা সমাজে নারীর স্বাধীনতা ও আধুনিকতার প্রতীক হয়ে ওঠেন তাঁরা।