বিমান যাত্রায় মোবাইল ফোন এয়ারপ্লেন মোডে না রাখলে কী হয়?

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৫

বিমান চলাকালে মোবাইল ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এটি কেন করতে হয় তা অনেকেরই অজানা। কেউ হয়তো নিয়ম মনে রাখেন, কেউবা ভুলে যান। তবে সত্যিই কি মোবাইল ফোন বন্ধ না রাখলে বিপদ ঘটতে পারে? পাইলট ও বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, সরাসরি কোনো বিপদ হয় না।


পাইলটদের অভিজ্ঞতা


৭ হাজার ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে পাইলট গ্যারি কক্সের। তাঁর মতে, ‘এতে কোনো বড় সমস্যা হবে না।’ ওয়াশিংটনের এক বিমান মেকানিকও এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে পাইলটরা বলেন, এটি শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়, ভদ্রতারও ব্যাপার। একজন পাইলট এবং ইউএস আর্মির ভেটেরান বলেন, ‘আপনার মোবাইল ফোন হঠাৎ নেটওয়ার্ক খুঁজতে গিয়ে পাইলটের হেডসেটের সঙ্গে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এটি অনেক সময় সমস্যার কারণ হতে পারে।’


হেডসেট পাইলটদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উড্ডয়ন ও অবতরণের সময়, যখন খুব দূরে দেখা যায় না তখন পাইলট টাওয়ারের নির্দেশের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকে। যদি হেডসেটের শব্দ স্পষ্ট না আসে, নির্দেশ বোঝা কিছুটা কঠিন হতে পারে। তখন মশার ভোঁ ভোঁ শব্দের মতো শব্দ হয়, এটি বেশ বিরক্তিকর হলেও বিপজ্জনক নয়।


নিয়মনীতি ও ইতিহাস


ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, যাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার তখনই অনুমোদন দেওয়া হয়, যখন তা বিমানের নিরাপত্তা বা যোগাযোগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে। ১৯৯১ সালে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিমান চলাকালে সেলুলার ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ তখন মনে করা হতো, সেলুলার সিগন্যাল গুরুত্বপূর্ণ বিমান যন্ত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৩ সালে প্রযুক্তির উন্নতি এবং নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত হওয়ার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন এয়ারপ্লেন মোডে থাকলে কোনো বিভ্রান্তি হয় না। একই বছরের একটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, ২০০৩-০৯ সালের মধ্যে মাত্র ২৯টি ঘটনার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের বিভ্রান্তির আশঙ্কা করা হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও