ইসির লেন্সে ছানি ও বডিওর্নের ফোকাস মোড

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৮

জাতীয় নির্বাচনের কার্যক্রম সরেজমিনে পাহারা দেবার জন্য চারশো কোটি টাকায় কেনা চল্লিশ হাজার বডিওর্ন ক্যামেরা শীঘ্র দেশে আসছে। কারণ আমাদের জাতীয় নির্বাচন মানেই গণতন্ত্রের মহোৎসব হলেও অতীতে সেই মহোৎসব অনেক সময়ই কলঙ্কিত হয়ে পড়েছে নানা অনিয়ম, জবরদস্তি আর স্বচ্ছতার সংকটে। বেশিরভাগ সময় ভোটাররা হয়েছেন ভীত-সন্ত্রস্ত, নির্বাচনী কর্মকর্তারা ছিলেন অসহায়, আর জনগণের আস্থা ডুবে গিয়েছিল সন্দেহের অতলে।


এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন বা সরকারের পক্ষ থেকে নানা প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ দেখা গেছে। অতীতে যেমন :  ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা কেনা হয়েছিল। আর ২০২৫ জাতীয় নির্বাচনের জন্য সর্বশেষ সংযোজন হয়েছে বডি ক্যামেরা। এবারের নির্বাচনে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে চল্লিশ হাজার বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হয়েছে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, এতো বিপুল অর্থ ব্যয় করে এ ব্যবস্থা কি সত্যিই নির্বাচনী অনৈতিকতা ঠেকাতে পারবে? নাকি এটি কেবল আস্থাহীনতার প্রলেপমাত্র? এ বিষয়টি কিছুটা বিশ্লেষণ করা যাক।


বডি ক্যামেরার মূল উদ্দেশ্য হলো মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ রাখা। নির্বাচনকেন্দ্রে ভোটার প্রবেশ থেকে শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ, আনসার বা ম্যাজিস্ট্রেটের আচরণ পর্যন্ত সব কিছু রেকর্ডে ধরা পড়বে। তাত্ত্বিকভাবে ভাবলে ক্যামেরা থাকলে কেউ অনিয়ম করতে ভয় পাবে, কারণ প্রমাণ ধরা থাকবে চোখের সামনে। অথচ বাস্তবতা এত সরল নয়। আমাদের দেশে প্রমাণ থাকে, অভিযোগ ওঠে, তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু ফলাফল ক’জন দেখে? তাই ক্যামেরা থাকলেও যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে, তবে সে ভিডিও হয়তো পরদিন কোনো গোপন আর্কাইভে ঢুকে যাবে।


গণতন্ত্রের প্রতীক জাতীয় নির্বাচন। সেখানে মানুষের একটিমাত্র কাজ ভোটের মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ। আর রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব সেই মত প্রকাশের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। এজন্য প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন নতুন কিছু উদ্যোগ নেয়। কোথাও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়, কোথাও ডিজিটাল মনিটরিং, আবার কোথাও নতুন প্রযুক্তির ভরসা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় আসছে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে চল্লিশ হাজার বডি ক্যামেরা। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে অনেক দাম দিয়ে কেনা সিসি ক্যামেরা বহুবার অন্ধ হয়ে গিয়েছিল।এবারের কেনা বডিওর্ন ক্যামেরা যেন সেই একইভাবে জন্মান্ধ অথবা বোবা না হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও