শিশুর মনন গঠনে বিভিন্ন দেশে কী পড়ানো হয়?
জীবনের চলমান রীতির শৈল্পিক বিন্যাস হয়ে ওঠে সংস্কৃতির আধার। জীবনের বাস্তবতার অভিজ্ঞতা ক্রমান্বয়ে অনুশীলনের ফলে শৈল্পিক রূপ নেয় সাংস্কৃতিক প্রয়োগে। সামাজিক ব্যাধি স্ব-মূলে উৎপাটন করতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃহৎ কাঠামো রূপে কাজ করে।
সমাজের দ্বান্দ্বিকতার অবসান ঘটায় সাংস্কৃতিক কর্মীর উদ্ভাবনী শক্তি। পরবর্তীতে চিন্তাচেতনার শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের ওপর সুন্দর ফলস্বরূপ হয়ে উপস্থাপিত হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আধুনিকতার শীর্ষ দেশে এসে দেখা গেল একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ছাড়াও শিশুদের চিন্তাচেতনাকে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
একজন শিশুর সমাজকে দেখবার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন সে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। উন্মুক্ত আকাশ, খোলা মাঠ, নদীতে মানুষ প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়, ঠিক তেমনি শিশুদের মনে যেন সমাজকে বদলে দেওয়ার প্রত্যয় জাগে। আর তাই সমাজকে ভেঙে গড়ার লক্ষ্যে তৈরি হয় প্রতিবাদী গান, নাটক, কবিতা, চিত্রাঙ্কন, নৃত্য ইত্যাদি।
বিশ্বের মন ও মননে সংস্কৃতিচর্চায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মও অগ্রদূত হতে পারে সব শিশু। শিশুদের নিয়ে পৃথিবীর সব স্বাধীন রাষ্ট্র এবং বিভিন্ন সামাজিক চেতনামূলক সংগঠনগুলো কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেরকম একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে সেভ দ্য চিলড্রেন (ইউ.কে)।
এটি মূলত একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ তাদের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ রকম শত শত প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে পৃথিবীর বুকে। আমরা জানি একটি স্বাধীন দেশ সুন্দরভাবে গড়তে আগামী প্রজন্মদের নতুন সূর্যের আলো দেখাতে হয়। আর সেই আলোর মানুষ গড়ে তোলে পৃথিবীর প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর মনের শিক্ষকরা।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শিশুর বিকাশ
- শিশুর বেড়ে উঠা