জিনবিদ্যায় অগ্রপথিক ছিলেন জেমস ওয়াটসন
আধুনিক জীববিজ্ঞানের এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব ড. জেমস ডিউই ওয়াটসন। ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কার করে তিনি বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। এ যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মরিস উইলকিন্স ১৯৬২ সালে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার কাজটি এতটাই মৌলিক ছিল যে এটিকে জীববিজ্ঞানের আধুনিক যুগের সূচনা বলে বর্ণনা করা হয়। তিনি ১৯২৮ সালের ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯৭ বছর বয়সে ২০২৫ সালের ৬ নভেম্বর নিউইয়র্কের ইস্ট নর্থপোর্টে মারা যান। আজ বিজ্ঞান জগৎ ড. জেমস ডি ওয়াটসনকে বিদায় জানাচ্ছে। তিনি ছিলেন ডিএনএ ডাবল হেলিক্স কাঠামোর আবিষ্কারের পেছনের অন্যতম অগ্রণী মন, যা জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসার গতিপথ চিরতরে বদলে দিয়েছে।
কিন্তু ওয়াটসনের দীর্ঘ ৯৭ বছরের প্রভাবশালী জীবন শুধু বৈজ্ঞানিক সাফল্যের দ্যুতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার বিতর্কিত মন্তব্য ও নৈতিক অবস্থান তার অসাধারণ উত্তরাধিকারকে বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তবু জেমস ওয়াটসন বা ‘জিম’ শতাব্দীর একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ও শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানী। মানবসভ্যতার বিকাশ এবং অনাগত বিজ্ঞানেও তার প্রভাব অনেক আলোচিত ও সমালোচিত হবে। এ মহান বিজ্ঞানীর কর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এ প্রবন্ধে বিজ্ঞানে জেমস ওয়াটসনের গৌরবময় অবদান এবং তার কিছু বিতর্কিত বক্তব্য ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে আলোকপাত করব।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বৈজ্ঞানিক
- বৈজ্ঞানিক সাফল্য