‘একমুঠো ভাত নয়, একমুঠো অক্সিজেন চাই’ স্লোগানে ২০ বছর ধরে গাছ লাগাচ্ছেন দিনমজুর বাদশা

প্রথম আলো পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯

প্রত্যন্ত গ্রামের শানেরহাট বাজারটি বেশ বড়। বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজতে তাই এ দোকান–ও দোকানে জিজ্ঞাসা করতে হলো। মনিরুল নামের এক দোকানি চিনতে পারলেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাল্টা জানতে চান, ‘গাছের বন্ধু বাদশাকে খুঁজছেন?’


হ্যাঁ-সূচক উত্তর পেয়ে বাজারের মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি আমগাছ দেখিয়ে মনিরুল জানালেন, সেটি বাদশা মিয়ার লাগানো। বাদশার কাছে নিজের লাগানো গাছগুলো সন্তানের মর্যাদা পায় উল্লেখ করে মনিরুল বলেন, তিনি দেখেছেন, ওই আমগাছটি কী গভীর মমতায় বড় করেছেন বাদশা! বাজারে এলেই গাছটি ছুঁয়ে আদর করেন তিনি।


বাদশা মিয়ার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে শানেরহাট ইউনিয়নের মেষ্টা গ্রামে। স্থানীয় লোকজন ভালোবেসে তাঁকে ‘গাছের বন্ধু বাদশা’ নামে ডাকেন। তাঁর পেশা দিনমজুরি হলেও নেশা গাছ লাগানো। নিজের টাকায় রাস্তার পাশে, হাটবাজার ও গ্রামের মোড়ে, ঈদগাহ, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ২০ বছর ধরে গাছের চারা লাগিয়ে চলেছেন তিনি। এখন তাঁর লাগানো গাছের ফল খান এলাকার মানুষ। গাছের ছায়ায় বসে মনপ্রাণ জুড়ায় পথচারীরা।


এলাকার অনেকেই বাদশাকে ‘পাগল’ বলে উপহাস করতেন বলে জানালেন মেষ্টা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, কটুকথায় বাদশা থামেননি। সবাইকে বুঝিয়েছেন গাছের উপকারিতার কথা। এখন সবাই তাঁর পাগলামির সুফল ভোগ করছেন।


মেষ্টা গ্রামের ফসলি মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে শানেরহাট-বড়দরগা পিচঢালা সড়ক। সড়কের দুই পাশে সারি সারি নানা ফলের গাছ। সম্প্রতি (গত ২৭ সেপ্টেম্বর) সেই পথ ধরে বাদশার বাড়িতে ঢুকেই মন জুড়িয়ে যায়। গাছে গাছে সাজানো লম্বা পথ পেরিয়ে তারপর আধা পাকা টিনশেড বাড়ি। পথের দুই পাশে সবজি, ফল আর ফুলের গাছ। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া গেল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও