দুদকের অভিযানেও দূর হয় না স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৫

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ বহুদিনের। সম্প্রতি এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) মায়ের চিকিৎসা করাতে যাওয়া শিক্ষার্থী রাতুল চৌধুরী।


গত ৯ অক্টোবর ঘটে যাওয়া এ ঘটনার বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতুল শেয়ার করলে তা দ্রুত ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক আলোড়ন তোলে।


তার পোস্টে রাতুল জানান, হাসপাতালে অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তিনি হেনস্তার শিকার হন। পোস্ট অনুযায়ী, আনসার সদস্যরা তাকে জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে নির্যাতন করেন। আনসার সদস্য ও হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক মিলে তাকে লাঠি, রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন এবং একপর্যায়ে তাকে উলঙ্গ করে পেটানো হয়। নির্যাতনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার মা হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে রাতুল সেখানে নেই এবং গণপিটুনিতে মারা গেছেন।


অন্যদিকে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এ অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং আনসার সদস্যদের ভূমিকা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করে। বাহিনীর উপ-পরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালের ক্যানসার ভবনে আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য আসা রোগীদের ভিড়ের কারণে বাগবিতণ্ডা হয় এবং আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর দুই ব্যক্তি হাসপাতালের রেজিস্টার কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।


তবে হাসপাতালটির জন্য এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও গত ৬ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ, রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওষুধ ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুদক এনফোর্সমেন্ট। অভিযান পরিচালনাকালে রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, রেজিস্টার বই যাচাই করা হয়। এনফোর্সমেন্ট দল সেবার মান বৃদ্ধি ও সমাজসেবা কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা আনয়নে পরামর্শ দেয় যেন অসহায় দুস্থ রোগীরা কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও