You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জামায়াত-শিবিরের বদলে যাওয়ার রাজনীতি

বাংলাদেশে ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম, তারা ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির কেমন; সেটি প্রত্যক্ষভাবে দেখেননি। তবে জামায়াত-শিবির সম্পর্কে তাদের একেবারে ধারণা নেই, এমনটা বলার সুযোগ খুব কম।

২০০৬ সালের পর থেকে জামায়াত ও তার ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির ক্ষমতায় না থাকলেও দুটি কারণে প্রাসঙ্গিক ছিল।

প্রথমত, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিল, ওই কারণে। তবে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় জামায়াত সেটিকে ব্যবহার করে সহানুভূতি আদায় করার রাজনীতি কিছুটা হলেও করতে পেরেছে।

দ্বিতীয়ত, তাদের গুপ্ত রাজনীতি। স্কুল-মাদ্রাসা থেকে কলেজ, কোচিং, মেস বা আবাসিক হলে তাদের গুপ্ত রাজনীতি সবসময় ছিল। শিবির সাধারণত শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে তাদের রাজনীতিতে যুক্ত করে, ফলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের কাছে শিবিরের পরিচিতি ইতিবাচক।

তবে এর বাইরের বড় অংশ জামায়াত-শিবিরকে যুদ্ধাপরাধের আলোচনার বাইরে খুব একটা চেনে না। ফলে, জামায়াত-শিবির ক্ষমতায় থাকলে কেমন হবে, তা বাংলাদেশের অধিকাংশ তরুণেরই জানা নেই।

দিন কয়েক আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তখন তার ক্যাম্পাসে শিবিরের ব্যাপক দাপট ছিল। ওই বড় ভাই বলছিলেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে শাটল ট্রেনে ক্যাম্পাসে পৌঁছানো পর্যন্ত দুনিয়া ছিল এক রকম, ক্যাম্পাসে ঢুকলে ভিন্ন আরেকটি দুনিয়ার মুখোমুখি হওয়া লাগত, তার কাছে ক্যাম্পাসটাকে অনেকটা কারাগারের মতো হত। সেখানে শিবিরের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে হত তাদের।

১৯৯১ সালে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশের মানুষ যে রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল, তা বড় দুটি দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পূরণ করতে পারেনি। বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নতি, সুশাসন ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াত সেটির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সুযোগ নেওয়া ইতিবাচক হতে পারত, কিন্তু জামায়াতের রাজনৈতিক ধারার কারণে এটিকে সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই।

ধর্মকে ব্যবহার করার কারণে জামায়াতের রাজনীতি তাদের সুবিধা দিলেও এটি তাদের অসুবিধারও কারণ। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মবিশ্বাসী, কিন্তু ধর্ম পালনে তাদের স্বাধীনচেতা মনোভাব রয়েছে। ফলে শরিয়া আইনের শাসন নিয়ে তাদের মনে শঙ্কা রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন