You have reached your daily news limit

Please log in to continue


অভিবাসনবিরোধিতা নাকি ইসলামভীতি—পশ্চিমের আসল সংকট কোথায়?

কর্মসংস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা কিংবা রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণে মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। বিশ্বায়নের কালে অভিবাসন আসলে এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা। তবে ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে সম্প্রতি অভিবাসনকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক ও আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একদিকে মানবিক কারণে শরণার্থী গ্রহণের দাবি, অন্যদিকে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক পরিচয় ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে আন্দোলন গড়ে উঠছে।

সামগ্রিক অভিবাসনবিরোধী মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় প্রভাবও। পশ্চিমা বিশ্ব ঐতিহাসিকভাবে খ্রিস্টীয় সভ্যতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের অভিবাসন বৃদ্ধি, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের কারণে পাশ্চাত্যে মুসলিমবিরোধী আন্দোলন ও মনোভাব দিন দিন বাড়ছে।

অভিবাসন সংকট ও প্রতিক্রিয়া

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অন্যান্য ধর্মের মানুষের পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মুসলিম অভিবাসীকে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দেয়। লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারের মতো শহরে মুসলিম সম্প্রদায় এখন দৃশ্যমান। এই দৃশ্যই এখন মুসলিমবিরোধী মনোভাব তৈরির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৫ সালের লন্ডন বোমা হামলার পর থেকে মুসলিমদের প্রতি অবিশ্বাস বাড়তে থাকে। ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও ইংলিশ ডিফেন্স লীগ অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা গণমাধ্যমে মুসলিমদের ‘চরমপন্থার উৎস’ হিসেবে চিত্রিত করে। হিজাব-নিকাব নিয়ে বিতর্ক ও মুসলিমদেরকে তাদের মূল্যবোধবিরোধী বলে প্রচার করছে।

২০১৫ সালের পর থেকে সিরীয় শরণার্থী সংকট, আফগানিস্তান থেকে শুরু করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবৈধ অভিবাসনের ঢল ইউরোপকে ব্যাপকভাবে নাড়িয়ে দেয়। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস ও হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোতে অভিবাসীদের উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো অভিবাসনবিরোধী ইস্যুকে মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। জার্মানির অলটারনেটিভ ফর জার্মান, ফ্রান্সের ন্যাশনাল র‌্যালি, ইতালির লিগা নোর্ড বা হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবানের সরকার অভিবাসন সীমিত করার দাবি তুলছে। অন্যদিকে, শরণার্থী গ্রহণের পক্ষে থাকা উদার মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মেরুকরণ বাড়িয়ে তুলেছে।

অস্ট্রেলিয়া ভৌগোলিকভাবে অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন হলেও অভিবাসনকে কেন্দ্র করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বিশেষত নৌকাযোগে আসা শরণার্থীদের আটকে রাখা ও ‘অফশোর ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে’ রাখার সরকারি নীতি আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হলেও স্থানীয়রা তাতে সমর্থন দিয়েছে। অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত অভিবাসী দেশে প্রবেশ করলে চাকরি, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় হুমকির মুখে পড়বে। এ কারণেই অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতেও অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন

যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসীদের দেশ হলেও, সম্প্রতি সীমান্ত সুরক্ষা ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র হয়েছে। বিশেষত মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে লাখো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। এর ফলে নিরাপত্তা, মাদক পাচার, সস্তা শ্রমের প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সেবার ওপর চাপ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিল্ড দ্য ওয়াল’ স্লোগান এবং রিপাবলিকানদের কঠোর অভিবাসন নীতি অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে। বর্তমানে রাজনীতিতেও অভিবাসন একটি প্রধান বিতর্কিত ইস্যু।

ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনসহ প্রতিটি দেশেই অভিবাসনবিরোধী ও ইসলামবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। ‘ফ্রান্স একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র’ এটা বলে তারা মুসলিম নারীর হিজাব, আবায়া-বোরকা নিষিদ্ধের দাবি করছে। ফ্রান্সের ডানপন্থী নেতা মারিন লে পেন ইসলামকে ‘জাতীয় পরিচয়ের জন্য হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। জার্মানিতে অলটারনেটিভ ফর জার্মানি পার্টি মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করছে। নেদারল্যান্ডে গির্ট উইল্ডার্স প্রকাশ্যে কোরান নিষিদ্ধের দাবি করেছেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে শরণার্থী গ্রহণের নীতি শিথিল করায় ইসলামবিরোধী বিক্ষোভ ও কোরান পোড়ানোর মতো উসকানিমূলক কাজ বাড়ছে।

ইউরোপে প্যাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ানস এগেইনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন অব দ্য ওয়েস্ট, স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে, স্টপ ইসলামাইজেশন অব ইউরোপ, অলটারনেটিভ ফর জার্মানিসহ বিভিন্ন অতি ডানপন্থী সামাজিক ও রাজনৈতিক দল মুসলিম অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন