জাতীয় নির্বাচন ও নারী: ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নে ফারাক কি ঘুচবে

প্রথম আলো উম্মে ওয়ারা প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৪

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী তিন মাসের মধে৵ বাংলাদেশে বহুপ্রতীক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতটা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে, তা নিয়ে জনমনে এখনো অনিশ্চয়তা থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে জোরেশোরে তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। আর সেই প্রস্তুতির ধারাবাহিকতায় কিছুদিনের মধ্যেই আমরা হয়তো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারও পেয়ে যাব। তবে আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণার অনেক আগেই বিভিন্ন বক্তৃতা ও সভায় অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের নানা প্রতিশ্রুতির কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি।


এর মধ্যে কিছুদিন ধরে যে বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হচ্ছে, তা হলো নারীদের অধিকার ও কর্মজীবন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কর্মজীবী নারীদের কর্মঘণ্টা কমানোর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা থেকে কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টার পারিশ্রমিক মালিকপক্ষ পরিশোধ করবেন এবং অতিরিক্ত ৩ ঘণ্টার পারিশ্রমিক সরকার দেবে। যাঁরা ঘরের কাজ করবেন, তাঁদের রত্নগর্ভা মা হিসেবে সম্মানিত করা হবে।’


জামায়াতে ইসলামীর আমিরের এ বক্তব্যের পর সমাজের বিভিন্ন স্তর এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশের বিশাল নারী শ্রমশক্তির কর্মঘণ্টা কমানো কিংবা ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে কতটা যৌক্তিক—এই প্রশ্নে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও এখন মতামত দিচ্ছে।


এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নারীর কর্মঘণ্টা কমানোর কথা বলে কি চাকরিদাতাদের কৌশলে নারীদের চাকরি না দেওয়ার দিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে না?’ শুধু তা–ই নয়, তিনি কর্মক্ষেত্রে সারা দেশে ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যাতে নারীদের পরিবার ও পেশার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য না হতে হয়।


২০ নভেম্বর তারেক রহমান নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচটি কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে ছিল জাতীয় অনলাইন সুরক্ষা–পদ্ধতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা শিক্ষা এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।


অন্যদিকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে যৌতুককে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব একমাত্র ওলামায়ে কেরামের। কাজেই দেখা যাচ্ছে, প্রায় ১৩ কোটি ভোটারের মধ্যে অর্ধেক নারী ভোটারদের সমর্থন পেতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক নেতারা নানা কৌশলী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন। তবে প্রশ্ন হলো বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের আগে ঘোষণা দেওয়া এসব রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো কতখানি বাস্তবায়ন করে।


বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা ৫০০-তে উন্নীত করা এবং সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের আসন বাড়ানোর করার কথা বলেছিল। ক্ষমতায় থাকার সময়ে তারা সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ করেছিল; পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ তা ৫০টিতে উন্নীত করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও