You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিদ্বেষ ছড়ানো ধর্মের শিক্ষা নয়

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। কারো ওপর অন্যায়ভাবে চড়াও হওয়া বা অন্যায়ভাবে আক্রমণ করার অধিকার ইসলামে নেই। ইসলামের বাস্তব শিক্ষা হলো, কেবল আক্রান্ত হলেই তুমি যুদ্ধ করতে পার।

এখানে এ নির্দেশও রয়েছে যে, আক্রমণকারী বা আগ্রাসী হয়ো না, চুক্তি ভঙ্গকারী হয়ো না। আগ্রাসন বলতে কী বুঝায়? সে যুগে ইসলাম বিরোধীরা পরাজিত-সৈন্যদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন করে বিকৃত করতো, এটা সমর-নীতির পরিপন্থি, জিঘাংসা-মূলক অত্যন্ত গর্হিত এক কর্ম। ইসলামে এটি নিষিদ্ধ।

শিশু ও নারীদের হত্যা করাও নিষিদ্ধ। ধর্মীয় নেতাদের, পাদ্রী-পুরোহিত, রাব্বী, প্রমুখদেরকে তাদের উপাসনালয়ে হত্যা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। অন্য কথায়, যুদ্ধ কেবল মাত্র সমরক্ষেত্রেই সংঘটিত হতে পারে। অথবা অন্য কোন বিকল্প খুঁজে না পেয়ে যদি শহর বা নগরে যুদ্ধ করতে বাধ্যও হতে হয়, তবুও কেবল তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করা যেতে পারে, যারা বিরোধিতায় আগ-বাড়িয়ে অস্ত্র ধারণ করে আক্রমণ চালিয়েছে।

এছাড়া আত্মঘাতী বোমা-হামলা ইসলাম সমর্থিত বা অনুমোদিত নয়। আমরা আজ এটাই দেখছি যে, সুন্দর সাবলীল ও সুগঠিত এই সব ইসলামি শিক্ষার ওপর কোনো দলই আমল করছে না। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা শিশু, নারী, বৃদ্ধ, নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করছে, অপরদিকে, আগ্রাসী বাহিনী, শহর, নগর-বন্দরে বোমা বর্ষণ করছে, গুলি চালাচ্ছে, করছে অতর্কিত আক্রমণ। তারা নগরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নগর অবকাঠামো সমূলে বিনাশ করছে। এতে নাগরিক অধিকারের কিছুই আর অবশিষ্ট থাকছে না।

প্রতিটি বৃহৎ শক্তিই এখন পারমাণবিক বিপুল অস্ত্র সম্ভারের অধিকারী, এমনকি দরিদ্র-দেশগুলো পর্যন্ত অস্ত্রসম্ভার মজুত করণের এই দৌড়ে শামিল হচ্ছে।

মানবজাতি একেবারে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে গেছে, যেখানে কী না পবিত্র কুরআন আমাদেরকে নিরপরাধ, নিরীহদের কোন ক্ষতি না করার শিক্ষা দেয়, সেখানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ তাৎক্ষণিকভাবে জান-মালের বিপুল ক্ষতি সাধন করা ছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধীতা ঘটায়, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলতেই থাকে। সুতরাং এটা তো হত্যা করার চেয়েও জঘন্যতর অপরাধ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহৃত হওয়ার পর মানুষ ভেবেছিল বিশ্ব এমন এক মারাত্মক মারণাস্ত্র বানানো থেকে হয়ত বিরতই থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সে-সব অস্ত্রের প্রাণ সংহারী ক্ষমতা বাড়াতে তারা আরও এগিয়ে গেছে। আর নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব সামগ্রিক ধ্বংসলীলা সাধনকারী মারণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতার দৌড়ে ছুটেই চলছে।

আজকাল আবার ভিন্ন দেশের সহায়-সম্পদ থেকে ক্ষমতাধর কিছু রাষ্ট্র নিজেদের ফায়দা লুটে নেয়ার শক্তি রাখে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, পার্থিব লোভ-লালসা তোমাদের যুদ্ধের কারণ হওয়া উচিত নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন