কাতারে ইসরায়েলি হামলা মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ করে দিল

প্রথম আলো দাউদ কাত্তাব প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫২

কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের আলোচকদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা কোথা থেকে শুরু হলো এবং যুক্তরাষ্ট্র এ হামলাকে কতটা জানত, তা পরিষ্কার নয়। তবু একটি জিনিস স্পষ্ট, ইসরায়েল এখন এমন এক অবস্থান গ্রহণ করেছে যে দেশটি প্রায় যা ইচ্ছা তা–ই করে ফেলছে।


বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেও সাজার বাইরে থাকার অভ্যাসের কারণে এখন ইসরায়েল কোনো বাধা-শর্ত দেখে কাজ করে না।


এ হামলায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন, কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর মানুষের বিশ্বাস কমে গেছে। ইসরায়েল, যাকে বছরে কোটি কোটি ডলারের মার্কিন সহায়তা দেওয়া হয়, দেশটি এ হামলাকে কোনো লুকোছাপা ছাড়াই উদ্‌যাপন করেছে। এমনকি ইসরায়েলের প্রধান দলের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়ার লাপিদও বিমানবাহিনী, আইডিএফ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘অসাধারণ অভিযান’ বলেই অভিনন্দন জানিয়েছেন।


ইসরায়েল এখন মধ্যপ্রাচ্যে ইচ্ছেমতো হামলা চালানোর মতো স্বাধীন হয়ে গেছে, যেন কারও অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্রমে কমছে। ইরাক আক্রমণের পর থেকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা এতটা নিচে নেমে যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছিল। দোহা হামলার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, ইসরায়েল ঠিক তাঁদেরই টার্গেট করল, যাঁরা দোহায় বসে মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। ফলে আলোচনা ভেঙে গেল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেল।


এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রায় ৭৭ বছর আগে জেরুজালেমে জাতিসংঘের শান্তিদূত সুইডিশ কূটনীতিক ফলকে বর্নাডোটকে ইহুদি উগ্রপন্থীরা হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন। তখনকার কিছু নেতা-প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইজতজাক শামির, যিনি পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হন। তাই শান্তির জন্য যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁদের ওপর এমন আক্রমণ নতুন কিছু না হলেও তার ক্ষতি সব সময়ই বড় ও ধ্বংসাত্মক।


ফিলিস্তিনিরা বারবার দেখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই ইসরায়েলকে দায়দায়িত্ব থেকে বাঁচিয়ে দেয়। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক (বাইডেন হোক বা ট্রাম্প) তারা ইসরায়েলের বোমা হামলা, সাংবাদিক বা ত্রাণকর্মীদের টার্গেট করা, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বা গাজার ওপর অবরোধের ঘটনাগুলোকে অস্বীকার বা উপেক্ষা করেছে। এমনকি তারা ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে এবং জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আমন্ত্রিত ফিলিস্তিনি নেতাদের ভিসাও প্রত্যাখ্যান করেছে। এসবই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ বাড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও