
বাজে বসের ১০ লক্ষণ মিলিয়ে নিন
কর্মক্ষেত্রে বাজে বসের অধীন কাজ করার অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকেরই আছে। একজন বাজে বসের কারণে বিষিয়ে উঠতে পারে পুরো অফিস। এতে যেমন কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়, তেমনি কর্মদক্ষতাও কমে যায়। বাজে বস তাঁর কর্মীদের কোণঠাসা করে রাখেন। বছরের পর বছর বসের কাছ থেকে পাওয়া খারাপ স্মৃতি বয়ে বেড়ান কেউ কেউ। এমনকি এ ধরনের বসের কারণে অনেকে চাকরি ছাড়তেও বাধ্য হন।
বাজে বসের এই ১০ বৈশিষ্ট্যের কোনোটি আপনার মধ্যে আছে কি না, মিলিয়ে নিন।
১. স্বেচ্ছাচারিতা
একজন ভালো বস অফিসের সবার জন্য একই নিয়ম তৈরি করেন। তিনি যেমন সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন, তেমনি নিজেও সেটা পুরোপুরি মেনে চলেন। বাজে বস হন এর ঠিক উল্টো। এ ক্ষেত্রে বস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা কোনো নিয়মের ধার ধারেন না। বাজে বস নিজের মর্জিমতো নিয়ম পরিবর্তন করেন। অফিসে শুধু তাঁর পছন্দের কর্মীদেরই পুরস্কৃত করেন।
২.আধিপত্য
একজন বাজে বস সবখানেই তাঁর আধিপত্য বিস্তার করতে চান। তিনি খুব কমই অধীন কর্মীকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেন। কর্মীরা না জানিয়ে নিজ উদ্যোগে কোনো কাজ করলে কখনোই তা তাঁর পছন্দ হয় না। এ জন্য একসময় কর্মীরা নিজ থেকে কোনো কাজ করতে ভয় পান। সবকিছুতেই তাঁরা বসের মুখ চেয়ে বসে থাকেন।
৩. পরচর্চা
একজন ভালো বসের উচিত তাঁর অধীন কর্মীদের অনুপ্রাণিত করা। কর্মীদের সম্পর্কে গসিপ করা যেকোনো বসের জন্যই খারাপ আচরণ। একজন বাজে বস অফিসের ছোটখাটো রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, সবার সঙ্গে পরচর্চা করে বেড়ান।
৪. বকাঝকা
বাজে বস তাঁর অধীন কর্মীদের সঙ্গে অকারণে খারাপ ব্যবহার ও বকাঝকা করেন। তিনি সবভাবে তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চেষ্টা করেন। কেউ কোনো ভুল করলে সবার সামনে চিৎকার–চেঁচামেচি করতেও দেখা যায় বাজে বসকে।
৫. লোভ
বস অনেক সময় নানাভাবে কোম্পানির অর্থসম্পদ আত্মসাৎ করেন। এমন বসকে নিয়ে অফিসে কানাঘুষা চলে। কর্মীরা বিষয়টি বুঝলেও চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। এমন সব বস অল্প টাকার লোভও সামলাতে পারেন না।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- কর্মক্ষেত্র
- বস