পাঠ্যবই ছাপায় এনসিটিবির কড়াকড়ি, ‘বাধ্যতামূলক’ প্রিন্টারের নাম

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৪

নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ছাপানো পাঠ্যবইয়ের মান নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ছাপানো বইয়ের প্রতিটি ফর্মায় বাধ্যতামূলকভাবে লেখা থাকবে সংশ্লিষ্ট মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের নাম। ফলে বই বিতরণের পর কোনো গুণগত সমস্যা ধরা পড়লে দায়ী প্রতিষ্ঠান সহজে শনাক্ত করা যাবে। একই সঙ্গে কাগজ ও ছাপার মান বাড়াতেও আনা হয়েছে নানা পরিবর্তন। এছাড়া, দ্বৈত ল্যাবে কাগজ পরীক্ষাসহ প্রতিটি প্রেসে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, যা ২৪ ঘণ্টা মুদ্রণ প্রক্রিয়া সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে।


এনসিটিবি সূত্র বলছে, এমন উদ্যোগ নেওয়ার পেছনে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগের বছরগুলোতে দেখা গেছে, কিছু মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বই ছাপার সময় ‘ইনার চেঞ্জ’ নামে একটি অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করত। এর অর্থ, তারা নিজেদের মানসম্মত কাগজ বা ছাপার বই ব্যবহার না করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মানহীন বা পুরোনো বই সংগ্রহ করত। এরপর সেই বইয়ের উপরের মলাটে বা পরিচিত স্থানে শুধু নিজেদের নাম ছাপিয়ে নতুন বই হিসেবে বাজারে সরবরাহ করত। ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাত নিম্নমানের বই, যা শিক্ষার গুণগত মান ও শেখার অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলত। একই সঙ্গে, এই ধরনের অনিয়ম একদিকে যেমন বইয়ের গুণগত মান যাচাই কঠিন করে তুলত, অন্যদিকে দায়ী প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে যেত।


এই অনিয়ম রুখতেই এনসিটিবি’র নতুন পদক্ষেপে প্রতিটি ফর্মায় প্রিন্টারের নাম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে কেউ আর ‘ইনার চেঞ্জ’ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে না। বই হাতে পেলে কিংবা বিতরণের পর যে কোনো প্রশ্ন উঠলেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহজেই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করতে পারবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও