You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ডলার সংকটের অবসান

চার বছর পর ডলার সংকটের অন্ধকার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার যুগান্তরের খবরে প্রকাশ-একসময় যে ডলারের অভাবে দেশের অর্থনীতি টালমাটাল ছিল, আজ সেই ডলারের প্রবাহ বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়েছে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রয়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক, সন্দেহ নেই। এ কথা অজানা নয়, দীর্ঘ নয় বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছিল, যার ফলে দেশের চলতি হিসাবে ঘাটতি তৈরি হয়। বিশেষ করে কোভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক মন্দা এবং আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ সংকট চরম আকার ধারণ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি রেকর্ড ১ হাজার ৮৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারে পৌঁছেছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিগত সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে ২ হাজার ৫৮২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ডলারের দাম বেড়ে ১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি পালটেছে। ডলারের আয় এখন ব্যয়ের চেয়ে বেশি হচ্ছে, যা চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত তৈরি করেছে। এর মূল কারণ, বৈদেশিক মুদ্রা পাচার কমে আসা এবং হুন্ডির লাগাম টেনে ধরায় রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি। একই সঙ্গে আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের মনোযোগ এ পরিস্থিতির উন্নতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এখন আমদানি ব্যয় মেটানোর পরও রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলা বাহুল্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়োপযোগী নীতি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে এ পরিবর্তন এসেছে। এখন ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে এবং আপাতত তা কমার সম্ভাবনা কমই বলা যেতে পারে। এটি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছে বলেই মনে করি আমরা।

তবে এই অগ্রগতি ধরে রাখাটা জরুরি। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে, মন্দা কেটে গেলে আমদানি আবারও বাড়তে পারে, যা চলতি হিসাবে আবারও ঘাটতি তৈরি করতে পারে। তাই রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর সরকারকে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি, সরকারের উচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করা এবং ডলারের বাজারকে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়া। এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে দেশের অর্থনীতি আবারও প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটবে। সরকার এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেবে, এটাই প্রত্যাশা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন