পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কী বার্তা নিয়ে আসছেন, তিন দিনের কর্মসূচি কী
প্রায় ১৫ বছরের বিরতি শেষে গত এপ্রিলে ঢাকায় বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দুই পররাষ্ট্রসচিব। ওই বৈঠকের ৯ দিন পর পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকায় আসার কথা ছিল। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাতের জেরে সফরটি শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আগামীকাল শনিবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ইসহাক দার।
এপ্রিলে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকটিকে দেখা হয়েছিল দেড় দশকের স্থবিরতা কাটিয়ে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে। আর ইসহাক দারের সফরটি পুনরুজ্জীবনের ধাপটিকে এগিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে তা নিবিড় করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শনিবার শুরু হওয়া ইসহাক দারের সফরটি হবে আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার তৃতীয় সদস্যের ঢাকায় আগমন। গত জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভী। আর গত বুধবার ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সফরের দ্বিতীয় দিনে আগামী রোববার সকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একান্তে এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সইয়ের জন্য চূড়ান্ত হওয়া চুক্তির তালিকায় রয়েছে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি। চূড়ান্ত হওয়া এমওইউগুলো হচ্ছে, দুই দেশের বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, সংস্কৃতি বিনিময়, দুই দেশের মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা, দুই রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সঙ্গে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইপিআরআই) মধ্যে সহযোগিতা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বৈঠক
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী