
আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কেন আত্ম-অনুশোচনা নেই
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের হামলায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে; অনেকে গুরুতর আহত হন। এরপরও কেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কারও মধ্যে তেমন কোনো অনুশোচনা নেই—এটা বেশ অনেক দিন ধরেই রাজনৈতিক আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্নগুলোর একটি। তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করাতে পারার ক্ষেত্রে অন্যদের ভূমিকা কী, এমন প্রশ্নও এখন সামনে আসছে। আরও প্রশ্ন উঠছে, অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক, যাঁরা অভ্যুত্থানের সময় নিজ দলের বিপক্ষে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেন আবার ‘চরম’ অবস্থানে ফিরে গেলেন?
অনেকেই দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে ধর্মের মতো দেখেন এবং নেতাকে সব ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে মনে করেন; তাই তাঁদের মধ্যে আত্ম-অনুশোচনার বোধ তৈরির চেষ্টা করে লাভ নেই। কিন্তু এই যুক্তি দিয়েই কি সব দায় এড়ানো যাবে? ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যুদ্ধ, বিপ্লব বা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষের মনোভাব বদলাতে কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য যথেষ্ট নয়; দরকার হয় মানুষের বিবেক নাড়া দেওয়ার মতো পদক্ষেপ।