দায় ও দরদের দেশে কৃষকের অধিকার কোথায়
‘লাঙল বেচায় জোয়াল বেচায় আরও বেচায় ফাল/ খাজনার তাপতে বেচায় দুধের ছাওয়াল।’ চিলমারীর ওয়ারি এলাকার রাজা গোপীচন্দ্রের গান এটি।
ফিরছিলাম গরুর হাট হয়ে। সেখানে কয়েকজন গরু ক্রেতার কাছ থেকে খাজনার রসিদের ফটো ও ক্রেতার ভিডিও রেকর্ড নিই। দেখে ফেলেন ইজারাদারের লোক। জোর করে ভিডিও ও ছবি মুঠোফোন থেকে মুছে দেন। সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে ফিরতি একটি গরুবাহী ভটভটিকে থামায়। গরুর পাইকারেরা খাজনার রসিদ দেখান। রসিদে গরুর মূল্য লেখা ৫০ হাজার, কিন্তু খাজনার ঘর ফাঁকা। তাঁরা জানান, বিক্রেতার কাছে খাজনা নিয়েছে ৩০০ টাকা ও তাঁদের কাছে ৪০০ টাকা।
কৃষকের ভাষায়, ‘জমিদার হৈল ইজারাদার। —রাজা হৈলে দয়া বুঝে করিত পালন/ পরে দয়া নাহি বুঝে বেসি লইতে মন।’ আর এই জমিদারদের সবার ঠিকানা হলো কলকাতা নগরী। কুড়িগ্রামের বর্তমান উলিপুরের বাহারবন্দ পরগনার কৃষকের ভাষায়, ‘এক বারি কাশিম (বাজার) বারি বানজিটা।/ এক বারি আছে রাজার সহর কলিকাতা। —ধন কাঙ্গালি হৈল রাজা রাজ্যেরও ভিতর/ এয়ার বিচার করবেন ধর্ম নিরঞ্জন।’