চশমা পোশাকের মতোই আপনার রুচি আর স্টাইলের অংশ। ভালো চশমা মানে এমন চশমা, যা আপনাকে পরার পরে আত্মবিশ্বাস আর আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। আমাদের চেহারা সাধারণত পাঁচ ধরনের আকারের হয়—ডিম্ব, চৌকো, গোল, হৃদয় আর হীরকাকৃতি। আপনার মুখের আকৃতি কেমন, তা আপনি নিশ্চয়ই জানেন। এরপরই নিচের লেখা থেকে ঠিক করে নিন আপনার সঙ্গে কোন ধরনের চশমা মানাবে।
ডিম্বাকৃতি চেহারা
ডিম্বাকৃতি মুখের মানুষদের গালের হাড় তুলনামূলকভাবে উঁচু ও চওড়া হয় আর কপাল হয় সরু। এ ধরনের লম্বাটে ও মোলায়েম মুখের আকারে প্রায় সব ধরনের চশমাই ভালো মানিয়ে যায়। তবে তাঁদের জন্য সবচেয়ে মানানসই হয় ওভারসাইজড ও চওড়া ফ্রেম। চাইলে নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারেন ফাঙ্কি রং আর টেক্সচার। চারকোনা, টর্টয়েজ, আয়তাকার কিংবা ট্রাপিজ (ত্রিভুজাকৃতি চতুর্ভুজ) আকারের ফ্রেমের মতো ভিন্ন আকারও অনায়াসে মানিয়ে যায়। তবে সরু ফ্রেম বা অতিরিক্ত ভারী ডিজাইনের চশমা এড়িয়ে চলাই ভালো; কারণ, এ ধরনের ফ্রেমের চশমা পরলে মুখ অপ্রয়োজনীয়ভাবে আরও লম্বাটে দেখায়।
চৌকো আকৃতি চেহারা
চৌকো চেহারায় স্টাইল করা যায় ভালো। যাঁদের মুখ চৌকো আকৃতির, তাঁদের জন্য সবচেয়ে মানানসই ছিমছাম কোনার ফ্রেম। কারণ, সাধারণত চৌকো মুখে চোয়াল ও কপাল—দুটোই চওড়া হয়। তাই এ ধরনের ফ্রেম নাকের ওপর একটু উঁচুতে বসে, মুখে বাড়তি দৈর্ঘ্য যোগ করে এবং পুরো চেহারায় আনে ধারালো ভাব। তবে চাইলে গোল বা ডিম্বাকৃতি ফ্রেমও বেছে নিতে পারেন, যা চৌকো চেহারায় কোমল ভাব নিয়ে আসে এবং চেহারাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।
গোলাকার চেহারা
গোল মুখের বৈশিষ্ট্য হলো নরম বাঁক ও মসৃণ রেখা, যেখানে চোয়াল থেকে ভ্রু পর্যন্ত প্রায় একই প্রস্থের থাকে। অন্য মুখের আকারের তুলনায় গোল মুখে কোনা বা ধারালো অংশ থাকে না। তাই চারকোনা বা আয়তাকার ফ্রেম বেছে নিলে মুখে একধরনের নাটকীয়তা ও স্টাইল যোগ হবে। গোল মুখের জন্য ক্যাট আই ফ্রেমও বেশ মানানসই। কারণ, এতে মানুষের দৃষ্টি সরাসরি মুখের গোলাকার প্রান্তের বদলে চোখের দিকে টেনে নেয়।