৫ আগস্ট নিস্তব্ধ শাহবাগ যেভাবে দখলে নেয় ছাত্র-জনতা

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৫

অন্য দশটা সকালের মতো সেদিনের সকাল ছিল না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, উৎকণ্ঠা, ভয় আর দৃপ্ত শপথের এক অবিশ্বাস্য সকাল ছিল সেদিন। রাজধানীসহ সারাদেশে গুমোট পরিবেশ, রাস্তাঘাট নিস্তব্ধ, চারদিকে যেন একটা অজানা উৎকণ্ঠা। বিগত ৩৫ দিনের আন্দোলনে শহীদদের স্বজনদের চাপা কান্না আর রাজপথে না শুকানো রক্তের দাগ- এমন ভীতিকর পরিবেশ দেশের আনাচে কানাচে। এতকিছুর পরও এক বিস্ফোরণের প্রতীক্ষায় ছিল পুরো দেশ।


সকাল ১০টায়ও সেদিন ঢাকার রাস্তাগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকমের নিস্তব্ধ। মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন। ফাঁকা সড়কে কোথাও কোনো শব্দ নেই। গুটিকয়েক মানুষ বের হয়েছে জরুরি কাজে। রাস্তায় অটোরিকশা আর দু-একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দেখা যায়। যারা বের হয়েছেন তাদের চোখে-মুখে ভয় আর অজানা আতঙ্ক।


গন্তব্য শাহবাগ


সকাল ১০টা ৩০ মিনিট। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) বহির্বিভাগের সরু গলিতে জড়ো হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের কয়েকজনের হাতে হ্যান্ড মাইক, মুখে স্লোগান। শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব সড়কে সেনাবাহিনীর তিন-চারটি গাড়ি আর কিছু সেনাসদস্য টহল দিচ্ছিলেন।


জাগো নিউজকের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে ওই গলি থেকে বের হওয়ার অনুমতি মেলে এই প্রতিবেদকের। শাহবাগ মোড়ে তখন সুনসান নীরবতা। কড়া তদারকিতে রেখেছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। সাঁজোয়া যানসহ সৈনিকরা অবস্থান করছেন শাহবাগে।


বেলা ১১টার দিকে রিকশায় করে পিজি হাসপাতাল ও বারডেম থেকে কিছু রোগীকে বের হতে দেখা গেলো। তাদের চোখে মুখে আতঙ্ক, দিশেহারা রিকশাচালকরাও। ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে রোগীর স্বজন সবাইকে তল্লাশি করছে সেনাবাহিনী। শাহবাগ এলাকায় কাউকে দাঁড়াতেও দিচ্ছেন না তারা। একই সঙ্গে শাহবাগ থানার সামনেও প্রায় ১০০ পুলিশ মোতায়েন। টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত কিছু বিচ্ছিন্ন আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা হাঁটাহাঁটি করছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও