
বয়স বাড়ার সঙ্গে মানসিক চাপ বাড়ে না কমে, বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
জীবনের প্রতিটি ধাপে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই চাপের ধরন, কারণ এবং প্রতিক্রিয়া কেমনভাবে পরিবর্তিত হয়, তা বুঝতে পারা খুবই জরুরি।
শৈশব ও কৈশোর: চাপে ভরা বেড়ে ওঠা শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ আসে বেশিরভাগ সময় পারিবারিক অশান্তি, পড়াশোনার চাপ ও সামাজিক মানিয়ে চলার চেষ্টার মধ্যে দিয়ে। পরীক্ষার ফল, বন্ধুদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অথবা অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনেক সময় তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
তারুণ্য: সম্পর্ক, ক্যারিয়ার ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ
তরুণ প্রজন্ম প্রেমের সম্পর্ক, চাকরি পাওয়া, স্বনির্ভর হওয়া এবং সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ার চাপ সামলাতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে। ক্যারিয়ার গড়ার সময় আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং আত্মপরিচয়ের সংকটও মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে।
মধ্যবয়স: দ্বৈত দায়িত্বের চাপে বিপর্যস্ত
গুরুগ্রামের মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতালের মনোবিজ্ঞানী ডা. মুনিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘মধ্যবয়সী মানুষদের একদিকে পেশাগত চাপ, অন্যদিকে সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবা-মার দায়িত্ব পালনের কারণে প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বয়সের মানুষ মানসিক চাপ পরিচালনায় তুলনামূলকভাবে বেশি দক্ষ হয়। কারণ তারা সমস্যা সমাধানের কৌশল এবং সামাজিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে শিখে যান।’
বার্ধক্য: চাপের নতুন রূপ
বয়স্ক ব্যক্তিরা শারীরিক দুর্বলতা, প্রিয়জন হারানো এবং আর্থিক নিরাপত্তার অভাব থেকে চাপ অনুভব করেন। তবে ড. ভট্টাচার্য বলেন, ‘বয়স্করা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষিত হয়ে মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকেন এবং চাপের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারেন।’
গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ
ওকহার্ট হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোনাল আনন্দ জানান, গর্ভবতী নারীদের মধ্যে সন্তানের স্বাস্থ্য, ডেলিভারি সংক্রান্ত চিন্তা এবং নতুন জীবনের প্রস্তুতি থেকে মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই এই সময়ে মানসিক চাপ সামলানোর সহায়তা নেওয়াটা খুব জরুরি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- মানসিক চাপ