You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নির্বাচন বনাম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন

উইকিপিডিয়ায় নির্বাচনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এইভাবে: নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আজকের দিনে নির্বাচন শব্দটি শুধু একটি দিনে ভোট দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়; এটি একটি জাতির গণতান্ত্রিক যাত্রার মৌলিক ভিত্তি। জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেয়, নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব তুলে দেয় একদল মানুষের হাতে। তাই নির্বাচন মানেই গণতন্ত্রের প্রাণ। অবশ্য শুধু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না, প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন—যেখানে প্রতিটি ভোটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে, প্রতিটি ভোট গণ্য হয় সমান গুরুত্বে এবং জনগণের রায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আবেগ, হতাশা, অভিযোগ আর প্রত্যাশা—সবকিছু একসঙ্গে চলে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির বদলে হয়ে উঠেছে বিরোধ, সংঘাত এবং সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে জনমনে প্রশ্ন জাগে, এইবার কি সত্যিই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে?

এই প্রশ্নের উৎপত্তি ইতিহাস থেকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচন, যা ছিল পূর্ব পাকিস্তান তথা গোটা পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র প্রায়-নিরপেক্ষ নির্বাচন, আমাদের আত্মপরিচয়ের বীজ বপন করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও কেন্দ্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়ায় দেখা দেয় বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। বিপুল বিজয়ে তারা ক্ষমতায় আসে, তাই বিরোধী দল বলতে তেমন কিছু ছিল না। একদলীয় শাসনের অভিপ্রায় তখনো সুস্পষ্ট হয়ে ওঠেনি, কিন্তু ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক নাটকীয়তা সে পথই উন্মোচন করে দেয়।
এরপর আসে একটি অস্থির ও রক্তাক্ত সময়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে জিয়াউর রহমান গণভোটের আয়োজন করেন, যার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছিল সেনাবাহিনীর ছায়া, প্রশাসনের শক্ত ভূমিকা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল।

জিয়াউর রহমানের সময়টায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের’ ধারা তৈরি হয়েছিল, পরবর্তীকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার চেয়েও বিস্তৃতভাবে সেটিকে ব্যবহার করেন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনকে ‘সামরিক শাসকের গণতান্ত্রিক মুখোশ’ হিসেবে অনেকেই আখ্যায়িত করেন। বিরোধী দলগুলোর একটি অংশ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি তা বর্জন করে। ভোটের দিন প্রশাসনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ, বিরোধীদের হয়রানি এবং ফলাফল নিয়ে অনাস্থা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৮৮ সালের নির্বাচন ছিল আরও বিতর্কিত। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়ই তাতে অংশ নেয়নি। ফলে ওই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা দেশীয়-আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ভোটার উপস্থিতি ছিল অস্বাভাবিকভাবে কম, অথচ ফলাফল দেখানো হয় বিপুল উৎসাহে। বলা হয়ে থাকে, সেই নির্বাচনই জনগণের মনে ‘ভোটহীন গণতন্ত্রের’ প্রতিচ্ছবি গেঁথে দেয়।

এই পটভূমিতেই ১৯৯০-এর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটে এবং আসে বহু প্রতীক্ষিত ১৯৯১ সালের নির্বাচন। এটি ছিল একটি নতুন আশার সূচনা। দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়, প্রশাসনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এ নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটিও ধীরে ধীরে তখন আলোচনায় আসে, যদিও বাস্তবে রূপ নেয় ১৯৯৬ সালের আন্দোলনের পর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন