
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মশাবাহিত ছয় রোগ
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের (হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) দৌরাত্ম্য বেড়েছে। মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটছে বিভিন্ন অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে। তবে কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মশা ও মাছিবাহিত এমন ছয়টি রোগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য এবং সেই সূত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠছে এসব রোগ।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মশাবাহিত রোগগুলো নিয়ে কয়েক দশকের সরকারি কার্যক্রমের সুবাদে কয়েকটি রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আবার কয়েকটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস ও জিকা রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে গত ছয় বছরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাত্রায় এর পর রয়েছে ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া। মশা নির্মূলে বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন না করা, রোগের জিনভিত্তিক গবেষণার অনুপস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতি মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে।
> জাতীয়
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মশাবাহিত ছয় রোগ
গত ছয় বছরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি
কয়েকটি রোগ নিয়ন্ত্রিত, কয়েকটি মহামারি আকারে
জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা হয়ে উঠছে
মশা নির্মূল, রোগব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন পরামর্শ
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪: ৩০আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১: ০৪
শিশুটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। নরসিংদী থেকে তাকে ঢাকায় এনেছেন মা। গতকাল রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের (হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) দৌরাত্ম্য বেড়েছে। মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটছে বিভিন্ন অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে। তবে কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মশা ও মাছিবাহিত এমন ছয়টি রোগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য এবং সেই সূত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠছে এসব রোগ।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মশাবাহিত রোগগুলো নিয়ে কয়েক দশকের সরকারি কার্যক্রমের সুবাদে কয়েকটি রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আবার কয়েকটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস ও জিকা রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে গত ছয় বছরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাত্রায় এর পর রয়েছে ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া। মশা নির্মূলে বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন না করা, রোগের জিনভিত্তিক গবেষণার অনুপস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতি মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে।
মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা অ্যামেরিকান মসকিউটো কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (এএমসিএ) তথ্যমতে, অন্য যেকোনো জীবের তুলনায় মশা মানুষের জন্য বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। বিশ্বে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় মশাবাহিত রোগের কারণে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের ভাষ্য, বিশ্বে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে। এই দুই কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, এর মধ্যে ১০০ প্রজাতির মশা মানবদেহে অন্তত ২০টি প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে সক্ষম। বাংলাদেশে ঠিক কত প্রজাতির মশা রয়েছে তার নিশ্চিত তথ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- উদ্বেগজনক
- মশাবাহিত রোগ