
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে এই ৫ অভ্যাস
অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কথ্য ভাষায় আমরা অনেক সময় যাকে বলি ‘গ্যাস্ট্রিক’। প্রয়োজন অনুভব করলেই গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অথচ আপাতদৃষ্টে সাধারণ এসব ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে আপনি পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
অ্যাসিডিটির সমস্যা মেটাতে জীবনধারায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনা খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারলে আপনি তাতে স্বস্তিই পাবেন। জীবনধারার এমন কিছু দিক সম্পর্কে জানালেন ঢাকার ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান।
নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন
রাত জাগবেন না। তাতে মাঝরাতে খাবার গ্রহণের প্রবল ইচ্ছা হতে পারে, যা সংবরণ করা কঠিন। মাঝরাতে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ পর ঘুমালে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
আবার বেশ বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে নিয়ে সকালের নাশতা বাদ দেন অনেকে। এ অভ্যাসও বর্জন করুন। মনের চাপে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। অন্যান্য ব্যায়ামও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
খাওয়ার পর এসব কাজ নয়
খাওয়ার পরপরই শোবেন না, করবেন না ভারী ব্যায়ামও। শোয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খাওয়াদাওয়ার পর্ব সেরে নিন। ভারী ব্যায়াম করতে হলে খাওয়ার পর অন্তত দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। অবশ্য খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক মৃদুগতিতে হাঁটা ভালো অভ্যাস।