You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ক্ষমতার ন্যায্য বাঁটোয়ারার প্রশ্নে উচ্চকক্ষের ভূমিকা কী

রাজনৈতিক ক্ষমতার ন্যায়সংগত বাঁটোয়ারার অভাব আমাদের রাজনীতির প্রধান এক সমস্যা। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ার কারণে আমাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা একটি বিন্দুতে বা ব্যক্তিতে কেন্দ্রীভূত হয়। এমন রাষ্ট্রকাঠামোতে অন্তর্নিহিত বন্দোবস্তের অধীন ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ বা বিতরণ সম্ভব হয় না। এ জন্য আলাদাভাবে ক্ষমতা বণ্টনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হয়।

আমাদের মতো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’, অর্থাৎ ভোটে যিনি এগিয়ে থাকবেন, তিনিই জয়ী হন। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ভোট যা–ই হোক না কেন, হেরে গেলে তার পুরোটাই মূল্যহীন। এ নীতির কারণে ক্ষমতা বণ্টনের অন্যান্য পদ্ধতির অনুপস্থিতিতে বাস্তবে তা ‘উইনার্স টেক অল’ হয়ে যায়; পরাজিত ব্যক্তি বা দলের জন্য কিছুই থাকে না। আত্মগর্বী দল বা ব্যক্তির রাজনৈতিক মননের বিরাট উন্নতি ছাড়া একদম অল্প ভোটে হেরে সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টা মেনে নেওয়া আসলেই কঠিন।

ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের যে সংসদীয় গণতন্ত্র, যার অবশ্যম্ভাবী অনুষঙ্গ হলো রাষ্ট্র পরিচালনায় আইনসভার নিম্নকক্ষের বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আইনসভায় সরকারকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহির মধ্যে রাখে তারা।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে বিরোধী দল থেকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়, এমনকি একটি ছায়া সরকারও গঠন করে; আর সরকারকেও সর্বোচ্চ উদারতার সঙ্গে এসব বস্তুনিষ্ঠ বিরোধিতা সহ্য করতে হয়। এভাবে সরকারের অপরিসীম নির্বাহী ক্ষমতায় তৈরি হয় ভারসাম্য। ফলে বিরোধীরা সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিপক্ষ হয়েই ‘অপেক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে সংসদে সহাবস্থান করে।

আমাদের আইনসভার ধরন কেমন হবে, এ নিয়ে গণপরিষদ সদস্য হাফেজ হাবীবুর রহমান দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করেছিলেন। সংবিধান প্রণয়ন কমিটি খসড়ায় তা না রাখায় তিনি কমিটির প্রতিবেদনে ভিন্নমত আকারে অন্তর্ভুক্ত করেন এভাবে, একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নিম্নকক্ষ দ্বারা নির্বাচিত ৬০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ থাকবে। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সমান ক্ষমতা থাকবে, শুধু অর্থ বিল প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের একক অধিকার থাকবে। দুই কক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য হলে ফয়সালা হবে যৌথ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে।

হাফেজ হাবীবুর রহমানের যুক্তি ছিল, ‘বাংলাদেশে সংসদীয় আধিপত্যের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এখানে দ্বিতীয় কক্ষ থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের কোনো অঙ্গকেই অনিয়ন্ত্রিত ও দুর্দমনীয় ক্ষমতা প্রদান করা উচিত নয়। বিশেষত সংবিধানের খসড়ায় আমরা কিছু বিধানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে সংকুচিত করেছি। তাই সংসদের সর্বব্যাপক ক্ষমতার ওপর আমাদের অন্তত কিছু সংশোধনমূলক বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।…দৃঢ়প্রত্যয়ের কোনো মেধাবী ব্যক্তি সাধারণ ভোটারের কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারেন, কিন্তু তাঁর প্রজ্ঞা, পরামর্শ, অভিজ্ঞতা ও স্বাধীন চেতনা জাতির জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয় হতে পারে।’

এ প্রস্তাবের মধ্যে সদস্য নির্বাচনের বিষয়টির সঙ্গে বিএনপির দেওয়া ৩১ দফার মিল রয়েছে। বিএনপির ৩১ দফায় ‘দেশে প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে চান, এমন’ এবং ‘বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইনসভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন’–এর কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতার প্রশ্নে এটা অনেকটা যুক্তরাজ্যের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের মতো।

হাফেজ হাবীবুর রহমানের সেই প্রস্তাব অবশ্য ধোপে টেকেনি; সেটা বা উচ্চকক্ষের জন্য আরও উৎকৃষ্ট কোনো প্রস্তাব গ্রহণ না করার ফল আমরা ভালোভাবেই টের পেয়েছি ৫৪ বছর ধরে। এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা তার অন্তর্নিহিত ত্রুটিগুলো অতিক্রম করতে না পেরে জাতীয় প্রতিনিধি সভায় উপনীত হতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন