কথিত আরব বসন্ত কী ইরানের দুয়ারে দাঁড়িয়ে?

জাগো নিউজ ২৪ জান্নাতুল বাকেয়া কেকা প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৫, ১৪:৪৬

ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন প্রায় সম্পন্ন, এবার ইরানের পালা! পাশে নেই মুসলিম বিশ্ব! ইসলামের নামে কট্টরপন্থী ইরানেও কথিত পরিবর্তনে আরব বসন্তের সূচনা হবে কী? সম্ভাবনা প্রবল! ইরাক সেই কবেই হারিয়েছে তার সম্ভ্রান্ত জাতি সত্তার গৌরব। লিবিয়ার গাদ্দাফি সরব হয়েছিলেন আফ্রিকার দেশে দেশে পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদের নখর উপরে দিতে। আফ্রিকান ইউনিয়নভক্তু দেশগুলোকে নিয়ে অভিন্ন মুদ্রা "স্বর্ণ দিনার" চালুর কথা জোরে-শোরে ঘোষণা দিয়ে মাঠেও নামেন তিনি।


দ্রুতই পশ্চিমা তথা ফ্রান্স ঔপনিবেশ কলোনির মহা প্রভুদের চক্ষুশূল হন গাদ্দাফী। এর ভয়াল পরিণতিতে আমরা দেখেছি কথিত ফ্যাস্টিস্টের নামে কর্নেল গাদ্দাফিকে পথের কাঁটা গণ্য করে পশ্চিমা বিশ্ব নিশ্চিত মৃত্যুর নীল নকশায় শূলবিদ্ধ করে। মৃত্যু অনিবার্য তথাপিও আফ্রিকার শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব এক কর্নেল গাদ্দাফির ভাগ্যে জোটে হৃদয়হীন নির্মম মৃত্যু। যে মৃত্যুর লিখন খণ্ডন করেনি তাঁর ভাগ্য ললাট। বরং বড় অসম্মান ও ব্যথাতুর দীর্ঘ বঞ্চনা, অসম্মানের মৃত্যুর দৃষ্টান্ত হয়ে আছে! আফ্রিকার জনমানসের মুক্তির নেতা সংগ্রামী কর্নেল গাদ্দাফির মৃত্যুতে দেশটির আমজনতা আজ ভাগ্যহত দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।


সিরিয়ার ভাগ্যেও ব্যতিক্রম হয় নি। কথিত আরব বসন্তের নামে বাশার আল আসাদের ক্ষমতাচ্যুতি নিকট সম্প্রতির ঘটনা। বাশার আল আসাদ প্রাণে বেঁচেছেন বটে। তবে সিরিয়া আজ ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর গৃহযুদ্ধ কবলিত এক জনপদ। হালের ফিলিস্তিন জনগোষ্ঠীর মানুষেরাও প্রায় নিশ্চিহ্নের পথে। এবার মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর ইরানকেও মুছে দেবার চেষ্টা! তবুও মুসলিম বিশ্বের টনক নড়ে না।



ধরণীর তলে অতীব অন্যায়ের চাষ হচ্ছে। বুড়ো খ্যাপাটে যুদ্ধবাজেরা স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র ফিলিস্তিন জনগেষ্ঠীকে ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন করেছে। পৃথিবীর মানচিত্রে মানবিকতা নামক শব্দের ব্যবহার আজ গোষ্ঠীবদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর কট্টর শিয়া অধ্যুষিত রাষ্ট্র ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে পশ্চিমাদের লাঠিয়াল ইজরায়েল৷ কোনো মুসলিম দেশ বিশ্বের অপরাপর কোনো দেশে হামলা চালালে দেশটির পরিণতি কি হতো? ২০০২ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করে সেই নজির রেখে গেছে। এর বাইরে মুসলিম হলেই জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমায় একঘরে হতো।


বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের সেই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, রেভ্যুলেশনারি গার্ড এর কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হন। এছাড়াও আইঅরজিসির খাতাম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের প্রধান গোলামালি রাশিদের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্স বা বিমান ও মহাকাশ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রধান আমির আলি হাজিযাদেহ। প্রাণ হারিয়েছে ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি।


দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ছয় পরমাণু বিজ্ঞানীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইজরায়েলের হামলা। তাদের অন্যতম তেহরানের আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি। ইরানের শহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান আবদুল্লাহামিদ মিনৌচেহর। শহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা জোলফাঘারি, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেইন ফেকহি এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাও নিহত হন!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও