আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর গ্রামগঞ্জে কর্মী-সমর্থকেরা কী ভাবছেন, তা খতিয়ে দেখা এ লেখার মূল লক্ষ্য। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া, রংপুর, বাগেরহাট, কক্সবাজার, সিলেট, বরিশাল ও শেরপুর জেলার আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভাবনা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
কর্মী-সমর্থক ছাড়াও শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিওকর্মীদের কাছ থেকেও (টেলিফোন ইন্টারভিউ) তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্যদাতারা তাঁদের নাম প্রকাশে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তথ্য সংগ্রহকালে তথ্যদাতাদের ভেতর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে বিশেষ দক্ষতা লক্ষ করা গেছে। পরিস্থিতি বিশ্লেষণে তথ্যদাতাদের মধ্যে রূপকাশ্রয়ী হওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। যেমন বাগেরহাটের তথ্যদাতা উল্লেখ করেছেন, আওয়ামী লীগের ঘর পুড়ুক বা বিএনপির ঘর পুড়ুক তার তাপ তো একই রকম। এ তাপ থেকে নির্বিবাদী প্রতিবেশীও মুক্ত থাকতে পারেন না। এ রূপকের ভেতর আজকের বাস্তবতায় রিকনসিলিয়েশন বা পুনর্মিলনের মূল চিন্তা লুকিয়ে রয়েছে।