ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। এখনো পুরোপুরি জমেনি কোরবানির পশুর হাট। প্রতিদিন হাটগুলোতে আসছে পশু, যার বেশিভাগই দেশি গরু।
এবার হাটে সব ধরনের গরু পাওয়া গেলেও আকারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।
ভারত, মিয়ানমার ও ভুটান থেকে গরু-মহিষ কম আসার কারণে দেশি গরুর এমন আধিপত্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
ঢাকার হাটগুলোতে দেশি গরুর পাশাপাশি বিদেশি বলতে রয়েছে সংকর জাতের গরু।
পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ক্লাবের মাঠে পশুর হাট পরিচালনা কমিটির একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদেশি গরু এবার হাটে নাই বললেই চলে। যা দেখছেন এগুলোর বেশিরভাগই ক্রস (সংকর), দেখতে বিদেশি মনে হয়।”
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে গরু থাকলেও খুব একটা ক্রেতা নেই।
আর ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের গরুর দাম হাকা হচ্ছে ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বুধবার পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ, রায় সাহেব বাজার, মুরগিটোলা, খোলাই খাল, কাঠের পুল এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। গরু নিয়ে বিক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকলেও এখনও চোখে পড়ার মত ক্রেতা হাটে আসতে দেখা যায়নি।