
প্রেস সচিব: পদোন্নতি ও পুরস্কারের লোভে গুম-খুন-নির্যাতনে যুক্ত হতেন অনেকে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে টর্চার কীভাবে হয় এবং কারা কারা অপরাধী ছিল তা উঠে এসেছে। এককভাবে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তিকে গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল। কমিশনের প্রতিবেদনে ভিকটিমদের কীভাবে তাদের গুম করা হতো এবং কীভাবে মারা হতো সেই চিত্র ফুটে উঠেছে।
যারা এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তারা কী কারণে যুক্ত হয়েছেন সেটিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দেখা গেছে যে পুলিশের মধ্যে অনেকে ভালো পোস্টিং (ঢাকায়), ভালো পজিশন ও বার্ষিক পুরস্কার (পিপিএম বিপিএম) বাগিয়ে নিতে এসব অপরাধে যুক্ত হন। বিষয়টা এমন ছিল যত অপরাধ করবেন তত সুনাম বাড়বে। তবে পুলিশের মধ্যে অনেকে এগুলো করতে চাননি এমন আবেদনপত্র ও গণভবন থেকে উদ্ধার হয়েছে। অপরাধের মাত্রা এমন বিস্তৃতি ছিল যা কল্পনাতীত। অপরাধের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিকটিমদের কাউকে নৌকায় নিয়ে যাওয়া হতো, তাকে হত্যা করে পেট কেটে সিমেন্ট করে নদীতে ফেলে দেওয়া হতো, কাউকে গুলি করে, ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হতো। কাউকে আবার হত্যা করে ট্রেনে বস্তাবন্দি করে ট্রেন লাইনের পাশে ফেলে রাখা হতো, ট্রেনের নিচে পিষ্ট হয়ে মরদেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেত, কখনো চলন্ত গাড়ির সামনে ফেলে দেওয়া হতো।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে এসব তথ্য জানান তিনি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- নির্যাতন
- খুন-গুম
- হত্যা-গুম
- শফিকুল আলম