প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর: প্রাপ্তির জায়গা কতটুকু?

ঢাকা পোষ্ট প্রশান্ত কুমার শীল প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৫, ১৩:০৫

বৈচিত্র্যে ভরপুর সূর্য উদয়ের দেশ জাপান। দক্ষিণ এশিয়ায়, জাপানের কৌশলগত-কূটনৈতিক এজেন্ডায় বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মুক্তবাজারের আধার। বাণিজ্যভিত্তিক অর্থনীতি এবং ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় লাভজনক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ঈর্ষণীয়। তার ওপরে রয়েছে বৈশ্বিক বাজারে আমাদের সস্তা শ্রম সরবরাহের সুনাম। তাই তো বাংলাদেশকে সবাই কাছে পেতে চাই।


সম্প্রতি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর শেষ করেছেন। সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে। সমঝোতা করেছেন একাধিক বিষয়ে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্বার্থে দুই দেশ বহু বিষয়ে একমত হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।


তবে কিছু গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার এই জাপান সফর নিয়ে প্রচারে কেমন জানি ঘাটতি লক্ষ্য করছি। যা চীন সফরে ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এখন দেখার বিষয় কোন দেশ থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায়? চীন, জাপান না যুক্তরাষ্ট্র? যে কেউ বলবে জাপান আমাদের নিঃস্বার্থভাবে যে সহযোগিতা করে তা আসলে অতুলনীয়। তাদের এই সহযোগিতা পেছনে কারণ কী?


এশিয়ার মধ্যে জাপান বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। ১০ বছরে, রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্বিগুণ হয়েছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে বস্ত্র, তৈরি পোশাক এবং চামড়াজাত পণ্য। যদিও ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি ও মৎস্যজাত পণ্য এবং খাদ্য শিল্পের উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।


অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্বার্থ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আধুনিক পর্যায়ে প্রাধান্য পেলেও এই দুই দেশের ভিত্তি কিন্তু সুদীর্ঘ সময়ের। ওইসিডি (Organisation for Economic Co-operation and Development-OECD) সদস্য দেশ জাপানই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি অদূর ভবিষ্যতে 'ব্যাপক অংশীদারিত্ব' থেকে 'কৌশলগত অংশীদারিত্বে' উন্নীত হবে এটা কিন্তু এখনই হলফ করে বলা যায়।


বর্তমানে বাংলাদেশের জাপানে রপ্তানির প্রায় ৭৩ শতাংশ এলডিসি (Least developed countries-LDC) বিশেষাধিকারের কারণে শুল্কমুক্ত। জাপান বাংলাদেশের ১২তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং আমদানির সপ্তম বৃহত্তম উৎস। যা গত অর্থবছরে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি এবং ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার আমদানিতে পৌঁছেছে। একইভাবে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে ন্যায্য পরিবেশে ব্যবসা করতে পারা জাপানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও জাপানের ইপিএ সম্পাদনের চেষ্টা চলছে। যা সত্যিই নতুন সমীকরণ এনে দিবে অর্থনৈতিক মেরুকরণে।


এবার দেখা যাক আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরের কিছু আলোচিত দিক।


পাঁচ বছরে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান:


জাপান সরকার এবং ব্যবসায়ীরা সেদেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এটা ঠিক জাপানে কর্মীর সংকট অনেক। তাইতো জাপান আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে। এই সংখ্যা হয়তো আরও বাড়বে। যদি আমরা ঠিকমতো ভাষা প্রশিক্ষণ এবং তাদের ন্যূনতম দক্ষতা দিতে পারি।


বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার দেবে জাপান:


বাজেট সহায়তা, রেলওয়ে উন্নয়ন এবং অনুদান হিসাবে বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দেবে জাপান। এর মধ্যে জাপান ৪১৮ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য উন্নয়নে ঋণ দেবে।


প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও চুক্তি:


প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশ ও জাপান নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। আশা করছি চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন ও হবে। যা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হবে। এছাড়াও জাপানের অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্সের অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে পাঁচটি টহল নৌকা দ্রুত সরবরাহসহ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে এবারের বৈঠকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও