
রান্নাঘরে যেমন কেবিনেট চাই
ঐতিহ্যবাহী রান্নার পাশাপাশি বাড়িতে আজকাল দেশি–বিদেশি নানা পদ তৈরি হচ্ছে। সব ধরনের রান্নার উপাদান গুছিয়ে রাখতে রান্নাঘরের জন্য নানা রকম কেবিনেটও গড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। রান্নাঘরের আকার অনুযায়ী কেবিনেটের নকশা করা হয়ে থাকে। আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রান্নাঘরের কেবিনেটের নকশা করতে সহযোগিতা করে।
গ্রাহকের চাহিদা এবং রান্নাঘরের অবস্থান ও আকার বিবেচনা করে কেবিনেটের নকশার পরামর্শ দেন সেখানকার অন্দরসজ্জাবিদেরা। সুবিধামতো নকশা ও উপকরণে কেবিনেট গড়িয়ে নেওয়া যায়। বিস্তারিত জানালেন হাতিলের পরিচালক সফিকুর রহমান।
কেমন কেবিনেট
কেবিনেট হতে পারে নানান নকশার, হতে পারে ছোট বা বড়। সবই যে পাল্লা দেওয়া কেবিনেট হবে, তা নয়। চাইলে রাখা যেতে পারে ড্রয়ারের সুবিধা। রান্নাঘর যেমন ধারারই হোক না কেন, কেবিনেটের জন্য প্লাই বোর্ড বা পার্টিকেল বোর্ড বেছে নেওয়া যেতে পারে। কাঠ দিয়েও কেবিনেট গড়িয়ে নেওয়া যায়। তবে তাতে খরচটা বেশি পড়ে। তবে রান্নার কাজ করতে করতে রান্নাঘরের পরিবেশ আর্দ্র হয়ে ওঠে। তাই পানিরোধী বোর্ড বেছে নিতে হবে। অন্যান্য উপকরণের কেবিনেট আবার রান্নার সময়কার আর্দ্রতায় ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চমৎকার ফিনিশিংয়ের বোর্ডের আসবাব দামে তুলনামূলক সাশ্রয়ী, আর দেখায়ও দারুণ।
বহুমুখী ব্যবহার
দেশীয় রান্না, নবাবি রান্না কিংবা বিদেশি ধাঁচের রান্না—আধুনিক সময়ের রান্নাঘরে সবই করা যায়। দেশি–বিদেশি রান্নার উপকরণগুলোও আলাদা। ধরন অনুযায়ী আলাদা কেবিনেটে ভাগ করে রাখতে পারেন এসব উপকরণ। এই যেমন, একটা কেবিনেটে বেকিংয়ের উপকরণ রাখতে পারেন। একটায় রাখতে পারেন ভিন্ন ধাঁচের কিছু মসলা। তৈজসপত্রও সাজিয়ে রাখুন প্রয়োজন বুঝে। কিছু কেবিনেট থাকে হাতের নাগালে। যেসব অনুষঙ্গ আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, সেগুলো রেখে দিন এসব কেবিনেটে। আবার যেসব অনুষঙ্গ আপনি কালেভদ্রে ব্যবহার করেন, সেগুলো রাখতে পারেন ওপর দিককার কেবিনেটগুলোয়। কেবিনেটে সব গুছিয়ে রেখে পাল্লায় কিছু চিহ্ন দিয়ে রাখতে পারেন। লিখেও রাখতে পারেন। তাহলে কোন কেবিনেটে কী আছে, খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। এমনকি পরিবারের যে সদস্যটি সাধারণত রান্নাঘরে ঢোকেন না, শখের বশে কিংবা নিতান্ত প্রয়োজনে রান্না করেন, তিনিও সহজেই সব খুঁজে পাবেন।