ভবিষ্যৎ রাজনীতি কোন দিকে যাবে

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ১০:১০

দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের দেখা হলেই তাঁরা খবর জানতে চান। খবর মানে ‘আসল’ খবর। আর আজকাল ‘আসল’ খবর মানেই ঘটনা নয়, রটনা। কারও কাছে প্রকৃত পরিস্থিতি বলার মতো কোনো খবর বা তথ্য সত্যি আছে কি? আমার কাছে অন্তত হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়ার মতো তেমন কোনো গোপন খবর নেই। তাই এই লেখা পড়ে পাঠক হতাশ হতে পারেন, আমাকে গালমন্দও করতে পারেন। এখন যেটা সবচেয়ে সহজ ‘ট্যাগ’ লাগানো, সেটাও লাগাতে পারেন। তারপরও লিখতে হচ্ছে। কারণ এটাই আমার কাজ, পেশা, রুটিরুজির উপায়।


গত বছর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাচারী শাসনের অবসানের পর আশা করা হয়েছিল, এবার দেশটা সত্যি নতুন পথে চলবে। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। ব্যক্তি, দল ও নেতা নয়, গুরুত্ব পাবে জনস্বার্থ, সমষ্টির স্বার্থ। রাজনৈতিক নেতৃত্ব আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির সুযোগ গ্রহণ করবে। যাদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সফল হলো, তারা জাতির বিবেকের ভূমিকা পালন করবে। তারা ক্ষমতার বাইরে থেকে জনতার হয়ে প্রেসার গ্রুপের ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু আজ ৯ মাস পর কী দেখা যাচ্ছে? নতুন মুখ, পুরোনো পথ। পাওয়া ও খাওয়ার ধারা অব্যাহত।


স্বীকার করতেই হবে যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বময় সময় চলছে। দৃশ্যমান বাস্তবতা এক রকম আর জনমানসে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাওয়া ব্যাখ্যা অন্য রকম। একদিকে একটি রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ—যাদের একসময় ‘অপরিহার্য’ বলেই গণ্য করা হতো, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, এ নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে নানা প্রতিক্রিয়া, হিসাব-নিকাশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাবার্তা উঠে আসছে, যার সিংহভাগই রটনার পরিসরে পড়ে যায়। তবে রটনার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে বাস্তবতার আভাস। বাংলাদেশে রাজনীতি কখনোই সরলরেখায় চলে না; বরং ছায়া ও প্রতিচ্ছবির মধ্য দিয়ে এগোয়। এ মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক ভাষ্য, প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কা—সবকিছুই যেন এক জটিল ধাঁধায় পরিণত হয়েছে।



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে যাঁরা এত দিন বলতেন, ‘সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর’, তাঁরাই এখন প্রকাশ্যে এই নিষেধাজ্ঞায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন। তাঁদের বক্তব্যে নতুন ভাষা—এমনটাই নাকি তাঁদের চাওয়া ছিল। চাওয়া পূরণ হওয়ায় এখন নিশ্চয়ই তাঁরা আনন্দচিত্তে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াবেন।


আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে কার লাভ হলো আর কার ক্ষতি হলো, সেটি এখনই স্পষ্ট নয়। সময়ই এর উত্তর দেবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ও দেশ ছাড়ার পরই এটা বোঝা গিয়েছিল যে আওয়ামী লীগ আর সহজে দল হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এবং শেখ হাসিনার ‘টুক’ করে দেশে ফেরার স্বপ্নও পূরণ হবে না।


কল্পনাবিলাসীরা কয়েক মাস ধরে অনেক কল্পগল্প ছড়িয়েছে। তাতে আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার কোনো লাভ হয়নি। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এখন বিচারের মুখোমুখি, শাস্তি পাওয়ার অপেক্ষায়।


তবে বিএনপির হিসাব-নিকাশ যে এমন বরবাদ হবে, এটা সম্ভবত এই দলের কেউ ভাবেননি, বোঝেননি। আওয়ামী লীগের পতন মানেই বিএনপির উত্থান—এই সরল হিসাব যাঁরা কষেছিলেন, তাঁরা এখন বেদনার সঙ্গে লক্ষ করছেন, শুধু যোগ-বিয়োগই অঙ্ক নয়, অঙ্কে গুণ-ভাগও আছে। অঙ্কের ফলাফল সব সময় মেলে না, বিএনপির ক্ষেত্রেও কি তাই ঘটছে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও