
ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী
দুই পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আবার বড় ধাক্কা খেল। যুদ্ধের প্রত্যক্ষ অংশীদার না হয়েও এর উত্তাপ থেকে বাংলাদেশের একেবারে গা বাঁচানোর সুযোগ কম; পরোক্ষ অভিঘাতে ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
একের পর এক ঘটনাপ্রবাহে তুঙ্গে থাকা প্রতিশোধ স্পৃহার মধ্যে প্রতিবেশী দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারের এ অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হলে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের উপর এর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে যুদ্ধের পক্ষ মনে হয়।
সর্বব্যাপী যুদ্ধের ঝুঁকি বিবেচনায় উভয় দেশের পিছিয়ে আসার সম্ভাবনা দেখলেও পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না তারা।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার শোধ নিতে ভারত বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলা বর্ষণ করে।
পাকিস্তান বলেছে, ভারতের হামলায় তাদের অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির পুলিশ।