You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রংপুরের বৈষম্যের প্রশ্নে সরকার কি আগের পথে হাঁটবে

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রংপুর বাংলাদেশের একটি অবহেলিত জনপদের নাম। যারাই যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকেছে, তারাই এই অবহেলা প্রদর্শন করেছে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা অন্তর্বর্তী সরকার এসে রাতারাতি ঠিকঠাক করে দেবে, সেটি নিশ্চয়ই কেউ আশা করেন না।

কিন্তু এ সরকার বৈষম্য দূরীকরণে কাজ শুরু করবে, এ প্রত্যাশা করা অমূলক নয়। দেশে যখনই দারিদ্র্য-মানচিত্র প্রকাশিত হয়, দেখা যায়—রংপুর বিভাগের অন্তত পাঁচটি জেলা দারিদ্র্যের শীর্ষে থাকে। সম্প্রতি একটি দারিদ্র্য-মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে রংপুরের অবস্থান দারিদ্র্যের তলানি থেকে মুক্ত দেখানো হয়েছে। বাস্তবে এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয়।

কারণ, রংপুর বিভাগে জীবনমান উন্নয়নে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যাতে রংপুরের গড় উন্নয়ন বৃদ্ধি পেতে পারে। বরং নদীভাঙনে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কথা।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রতিবছর রংপুর বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকে সবচেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কেবল গোপালগঞ্জ জেলার বরাদ্দ ছিল মোট বরাদ্দের প্রায় ৫ শতাংশ। রংপুর বিভাগের দুই কোটি মানুষের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ শতাংশের নিচে। প্রতিবছরের বাস্তবতা রংপুরের জন্য এ রকমই। কোভিডকালে সারা দেশে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা–ও রংপুর বিভাগের জন্য ছিল অনেক কম।

সারা দেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এর একটিও রংপুর বিভাগে নেই। লাখ লাখ কোটি টাকার যে উন্নয়ন হলো, সেই উন্নয়ন রংপুর বিভাগ পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। রংপুরে বিভাগ, সিটি করোপেরশন, মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যবস্থা চালু হলেও এগুলোর উন্নয়নে তেমন অর্থ বরাদ্দ ছিল না।

এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্ল্যানই হয়নি। রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কবে আলোর মুখ দেখবে, আমরা জানি না। সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা এখানে নেই। রংপুরে একটি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় খুব জরুরি ছিল। সেটিও হয়নি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়, নীলফামারী মেডিকেল কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও এগুলোতে অর্থ বরাদ্দ প্রায় নামমাত্র। ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার মধ্যে বন্দী হয়ে আছে।

সারা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত রংপুরের রেল। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও রংপুরের সঙ্গে ব্রডগেজ যোগাযোগ নেই। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম কিংবা লালমনিরহাটের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন স্থাপন কর সম্ভব হলে রেল যোগাযোগ অনেক দূর এগিয়ে যেত। রাজশাহী-খুলনা বিভাগের সঙ্গেও রেল যেগাযোগ স্থাপিত হতো। রংপুর থেকে পার্বতীপুরে ৪০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন হবে হবে শুনে আসছি অন্তত ১৫ বছর ধরে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে কলকাতাকেন্দ্রিক যে রেল যোগাযোগ ছিল, সেটার ওপর ভর করে রংপুরের সঙ্গে ঢাকা রেলপথ তৈরি করা হয়েছে। লালমনিরহাট থেকে ট্রেন নাটোর-পাবনা হয়ে কলকাতায় যেত। বর্তমানে ওই রেলপথ ধরে নাটোর-পাবনা হয়ে এ অঞ্চলের ট্রেন ঢাকায় যায়। একটি বৃত্তের অর্ধেকের বেশি ঘুরে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যেতে হয়। ব্রহ্মপুত্রের ওপর একটি সেতু স্থাপন করলে মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া যেত। সেই পথ এখন ১২ ঘণ্টায় যেতে হয়।

এসব নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষেরা বারবার কথা বলে আসছি। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতারা জোরেশোরে দাবি করতেন না। কী জানি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি যদি কিছু চাওয়ার কারণে বেজার হন—এই ভাবনায় কিছু চাইতেন না। রংপুর বিভাগে গত ১৮ বছরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে কাগজ-কলমে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন