যা ঘটছে তা ‘বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক’

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫

সহজ কথা বলা যেমন সহজ নয়, তেমনি সহজ নয় আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হওয়া। আমাদের দেশে যত মাথা, তত মত—যে যার মতে অটল, নিজের বক্তব্যে অনড়। ফলে এখানে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই যেন যুদ্ধ জয়ের সমান। রাজনীতি তো আর গণিতের সূত্র নয়, যেখানে সবাই একই জবাব মেনে নেবে; এখানে আবেগ, স্বার্থ, বিশ্বাস আর ভিন্নমত একসঙ্গে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে থাকে। এখানে সবাই নিজের মতের বাদ্যযন্ত্র বাজায়, অন্যের সুমধুর সংগীত শোনারও ধৈর্য রাখে না। মতের এ মিছিল কখনো এগোয় না, শুধু জট পাকায়। সিদ্ধান্ত নয়, বিভক্তিই যেন আমাদের প্রিয় খেলা। তাই রাজনীতিতে একটিমাত্র লক্ষ্য ঠিক করতে করতেই সময় ফুরায়, শক্তি ক্ষয় হয় আর জাতি এগোনোর বদলে বারবার পিছিয়ে পড়ে।


চব্বিশের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে ভালোর দিকে পরিবর্তনের যে আশা জেগেছিল, সাত-আট মাসের মধ্যেই তা ফিকে হতে শুরু করেছে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ধোঁয়াশা না কমে বাড়ছে। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য—দিল্লি বহুত দূরের মতো। দেশে সত্যি কী ঘটছে, কী ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে কারও কাছ থেকেই পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। তবে অস্বস্তিকর নানা গুজব কান পাতলেই শোনা যায়। তথ্যের চেয়ে অপতথ্যের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়।

এর মধ্যেই কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না অন্তর্বর্তী সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি।’

এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এখনো অবিচল আস্থা রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চাচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের তেমন মাথাব্যথা নেই। ড. ইউনূসের সরকার ৫ বছর থাকা দরকার বলে যে প্রচারণা কোনো কোনো মহল থেকে শুরু হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য তাকেই বাতাস দিল কি না, সে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে উঠছে।



কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি থেকে মনে হয়, তাঁরা ড. ইউনূসের সরকারকে অনির্দিষ্টকাল সময় দিতে চান না। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল উল্লেখ করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে ‘সবকিছু সমাধান করা’ সম্ভব নয়। এ কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া দরকার।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য।’


বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ‘গত ১৬ বছরের যুদ্ধ ছিল’ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে, সেটা যেই সরকারই হোক।’


জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের দলগতভাবে বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারেও বিএনপি এবং সরকার সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। ২৮ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সমাবেশ থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও