শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিটি ধাপেই খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন তারা বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধের বাইরে নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে।
তখন ফিঙ্গার ফুড বা আঙ্গুলে ধরা খাবার হয়ে ওঠে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই খাবার শুধুমাত্র খিদে মেটানোর উপায় নয়, বরং এটি শিশুর স্বাধীনভাবে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে এবং তাদের ইন্দ্রিয়ের বিকাশেও সহায়ক।
ফিঙ্গার ফুড বা আঙ্গুলে ধরা খাবার বলতে যা বোঝায়
“ফিঙ্গার ফুড হল এমন সব খাবার যেগুলো শিশুরা নিজের হাতে ধরে খেতে পারে। এগুলো সাধারণত ছোট ছোট আকারে কাটা হয়, যেন শিশু সহজেই মুখে নিতে পারে ও গিলে ফেলতে পারে”- বলেন পার্সোনা হেলথের পুষ্টিবিদ শওকত আরা।
এসব খাবার খেতে কোনো ধরনের চামচের প্রয়োজন হয় না। ‘ফিঙ্গার ফুড’ শিশুর ‘মোটর স্কিল’ বা নড়াচড়ার উন্নয়নে সাহায্য করে, যেমন পিনস গ্রিপ (আঙুল দিয়ে ধরা), হাত-চোখের সমন্বয় ও স্বনিয়ন্ত্রণ শেখা।
পুষ্টিবিদ শওকত আরা এ বিষয়ে দিয়েছেন নানান পরামর্শ।
কোন বয়স থেকে ‘ফিঙ্গার ফুড’ দেওয়া যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত শিশুর ৬ থেকে ৮ মাস বয়স থেকেই ধীরে ধীরে আঙ্গুলে ধরা খাবার খাওয়ানো শুরু করা যায়। তবে এটি নির্ভর করে শিশুর ব্যক্তিগত বিকাশের ওপর।
নিচের কিছু লক্ষণ দেখা গেলে বোঝা যায় শিশু আঙ্গুলে ধরা খাবার খেতে প্রস্তুত।
- শিশু নিজের মাথা সোজা রাখতে পারে।
- মুখে খাবার নিয়ে চিবোবার চেষ্টা করে।
- অন্যদের খাওয়া দেখে আগ্রহ প্রকাশ করে।
- নিজের হাতে কিছু ধরতে পারে।