আওয়ামী লীগ কি নির্বাচন করার যোগ্য দল?

যুগান্তর ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৪

জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের দ্বারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে দেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে এবং দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি নতুন দলের আত্মপ্রকাশকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিও প্রদান করেছে। অতঃপর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ইত্যাদি দলের পাশাপাশি এনসিপিও যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হবে, সে বিষয়টি এখন নিশ্চিত। যদিও এনসিপি এখনো নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশন লাভ করেনি; কিন্তু আবেদন করলে তারা যে রেজিস্ট্রেশন পেয়ে যাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ অবস্থায় আগামী ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি এ তিনটি দলই মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নির্বাচনি ময়দানে আবির্ভূত হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।


যদিও এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্লাস-মাইনাসের একটি সমীকরণ অবশিষ্ট থেকেই যায়। কারণ আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন একটি রাজনৈতিক দল। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেস্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করে। কিন্তু ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দলটি সঠিকভাবে নির্বাচন না করেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে। নির্বাচন কমিশনে খয়ের খাঁ বসিয়ে তাদের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রহসন অনুষ্ঠান করিয়ে ভোটাভুটিতে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই নিজেরা নিজেদের নির্বাচিত সরকারের তকমা লাগিয়ে নেন! বিশেষ করে ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দল যা করেছে, তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক।


আর সবচেয়ে বড় কথা, এই লজ্জা এবং কলঙ্কজনক কাজটি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিব, যিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনা নিজ হাতে করেছিলেন; কারণ ক্ষমতার লোভে তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। আর এসব কাজে তার দলে অন্য যেসব নেতা ছিলেন, এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, তারাও তাকে সমানতালে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছিলেন। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করার পর, এমনকি ২০২৪-এর ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরও কোনো এমপি বা মন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে চোখে আঙুল দিয়ে তার ভুল ধরিয়ে দিতেন, তাহলেও আওয়ামী লীগের আজকের এমন অবস্থা হতো না; সুপ্রাচীন একটি দলের এত বড় ক্ষতি হতো না। কিন্তু কোনো এমপি-মন্ত্রী তো দূরের কথা, শেখ হাসিনার দলের কোনো একজন নেতাও সে কাজটি করে দেখাননি; বরং তারাও সমানতালে বগল বাজিয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঐতিহ্যবাহী দলটি এমন দুরবস্থায় কোনোদিন পড়েনি। আর ফাঁকতালে তার দলের এমপি, মন্ত্রী এবং সরকারি আমলারা যেভাবে দেশের অর্থ লুটপাট করেছেন, সালমান এফ রহমান গং যেভাবে ব্যাংক, শেয়ারবাজার লুটপাট করে সেসব প্রতিষ্ঠান ফোকলা করে দিয়েছেন, তাতে করে দেশের মানুষ তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে বলে মনে হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও