মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ কোনো যুক্তি ছাড়াই বিগত শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তা প্রায় সব দেশের ওপরই কার্যকর করেছেন। তারপর হঠাৎই (যদিও তিনি আগেই বলেছিলেন, এই শুল্কগুলো স্থায়ী হবে) তিনি সব দেশের জন্য নতুন ‘পারস্পরিক’ শুল্ক স্থগিত রাখেন, শুধু একটি দেশ ছাড়া।
বাকি সব দেশের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ শতাংশ হারে শুল্ক রাখেন। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তিনি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেন। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফা ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের পর ‘মুক্তির দিন’ ঘোষণা করে ৩৪ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করেন এবং পরে তা বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেন। সব মিলিয়ে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সর্বনিম্ন কার্যকর শুল্ক দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ (তবে ভোক্তাপণ্যের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় রয়েছে)।
চীন প্রথম দুই দফা ১০ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছিল এবং ট্রাম্পের সঙ্গে একটা চুক্তির আশা করেছিল। কিন্তু শেষ দফার শুল্ক বৃদ্ধির পর চীনও সমানহারে পাল্টা শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট ১২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে।