
বালকের হাতে বাইক নয় একা একা পড়ে গেলেও মৃত্যু!
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফোর লেনের মহাসড়কে ছোট মোটরগাড়িতে চেপে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। নগর পেরিয়ে বাইরের রাস্তায় তেমন জনভীড় নেই। বড় যানজট নেই। যেখানে যেখানে ব্রিজ ও ফ্লাইওভারের কাজ চলছে শুধু সেখানেই বিকল্প পথের দুই মুখে গাড়ির জটলা। অসংখ্য এসব নির্মাণ কাজের সরু রাস্তায় গিয়ে কে আগে সামনে যাবে ও মূল রাস্তায় উঠবে তা নিয়ে পারাপারি চলছিল। সেসব নির্মাণাধীন জায়গায় ইট বিছানো পাটাতন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে লাল ধুলো তৈরি হয়েছে। সঙ্গে রাস্তার পাশে রাখা শুকনো মাটির স্তূপ, বালু-ধুলো উড়িয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছিল। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় ধুলোবালিতে কেউ পানি ছিটায়নি। কোন কোন স্থানে ধূলিময়তায় দৃষ্টিসীমা বিঘ্নকারী রাস্তার দৈর্ঘ্য ২-৩ কি:মি:।
রাস্তায় ট্রাকের সংখ্যা বাসের চেয়ে দ্বিগুণ মনে হলো। কারণটা হলো- রাজধানীর সন্নিকট থেকে পোশাক ও অন্যান্য শ্রমিককরা ছোট-বড় খোলা ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। তারা রোজা ছিলেন। সেহরি খেয়ে ব্যাগ-বস্তা সাথে নিয়ে ছাদবিহীন ট্রাকে চড়ে বাড়ির পথে নেমেছেন। সকাল হতেই চৈত্রের প্রখর রোদের উত্তাপ তাদেরকে বেশ ভুগিয়ে তোলে। বিশেষ করে নারী শ্রমিক- যাত্রীদেরকে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সড়ক দুর্ঘটনা
- মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা