
ও তুই উলটা বুঝলি রাম!
সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য আবার দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয়েছে; যে রাজ্যগুলো নানা দিক থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে আলাদা। এর তিন দিকে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের সীমান্ত। রাজ্যগুলো শুধু ভৌগোলিক দূরত্বের দিক থেকেই নয়, যোগাযোগের দিক থেকেও ভারতের মূল অংশের চেয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও বিশ্বাসের দিক থেকে মূল ভারতের চেয়ে স্বতন্ত্র।
নানা উপজাতির বসবাসস্থল সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো জন্মের পর থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে। নিরাপত্তা, সংঘাত, বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার আন্দোলনের জন্য প্রসিদ্ধ সেভেন সিস্টার্সের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব সেখানকার জনগণের প্রত্যাশার প্রতি যত না মনোযোগী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লেজুড়বৃত্তি ও তাঁবেদারিতে। এ নেতৃত্ব উত্তর-পূর্ব ভারতের গণমুক্তি সংগ্রামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দিল্লির প্রতিনিধি রূপে কাজ করছে। বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে অখুশি দিল্লিকে খুশি করার জন্য এবার এ নেতৃত্ব চীন সফরকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য বিকৃত করে জলঘোলা করছে। এমনকি তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে সেখানকার একদল রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও বিষোদগার করছেন। যদিও এসব নেতা দিল্লির বিরুদ্ধে সেভেন সিস্টার্সের জনতার ন্যায়সংগত মুক্তির লড়াইয়ের বিষয়ে বরাবর নীরব থাকেন, তথাপি তারাই অতি সরব হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। অতএব, এহেন নেতাদের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে খোলাসা করে বলার দরকার পড়ে না। বাংলাদেশ চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক আর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চেয়েছেন যোগাযোগ বা কানেক্টিভিটির বিষয়টিকে তুলে ধরে পারস্পরিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে। পক্ষান্তরে তারা শুরু করেছেন হিংসাত্মক রাজনীতি ও বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা!
- ট্যাগ:
- মতামত
- ভূরাজনীতি
- ভূরাজনৈতিক অবস্থান