কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে

বণিক বার্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩

বাংলাদেশের কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির বড় সমস্যা কৃষি জমির সীমাবদ্ধতা। বর্তমানে জনপ্রতি কৃষি জমির প্রাপ্যতা দশমিক ১১ একর। মোট কৃষি খামারের সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৭৫৭। নিচের ৯১ দশমিক ৭০ শতাংশ কৃষক প্রান্তিক ও ছোট। তাদের দখলে আছে ৬৯ শতাংশ কৃষি জমি। উপরের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ কৃষক মাঝারি ও বড়। তারা ৩১ শতাংশ জমি চাষাবাদ করছেন।


সম্প্রতি মাঝারি ও বড় কৃষকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোট কৃষকদের সংখ্যা। তাতে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্বশেষ কৃষি শুমারির (২০১৮-১৯) প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মোট কৃষি খামারের সংখ্যা ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত কৃষি শুমারির তুলনায় ২০১৯ সালে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় খামারগুলোর নিয়ন্ত্রণে জমি কমেছে ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। মাঝারি খামারগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা জমির পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে ৩৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে ৩২ দশমিক ২৪ শতাংশ জমি বেশি দখলে নিয়েছে ছোট খামারগুলো। এরা সাধারণত খোরপোশ পর্যায়ে চাষাবাদ করে। বাজারজাত উদ্বৃত্ত¡এদের তেমন থাকে না। উৎপাদনে আধুনিক উপকরণ ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়নে এদের আগ্রহ থাকে কম। প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তি ও কৃষিযন্ত্র সংগ্রহে এদের প্রবেশাধিকার কম। ফলে তাদের প্রতি ইউনিট জমির উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার কম। অপরদিকে বড় ও মাঝারি কৃষকরা ক্রমাগতভাবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষাবাদে। তারা ক্ষয়িষ্ণু কৃষক। চাষাবাদে তাদের বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তাদের উৎপাদন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও