You have reached your daily news limit

Please log in to continue


স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও দেশ নির্মাণের পথ

দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র যে রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সেটি হলো স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশটি পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। লাখো শহিদের রক্ত ও মা-বোনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, স্বাধীনতার উষালগ্নেই তা ভঙ্গ হয়েছে।

তবে স্বাধীনতার হিরণ্ময় ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর-উত্তম) পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতে শুরু করে। তিনি একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। মাত্র সাড়ে চার বছরের মাথায় বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম ঘুচিয়ে আধুনিক স্বনির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে সামনে আসে।

আমাদের কাছে একাত্তর শুধু মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও সংগ্রাম নয়; আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। এটি আমাদের জাতীয় সত্তার কেন্দ্রবিন্দু। দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের চেয়ে বড় প্রেম আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু আজ ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও একাত্তর নিয়ে দেশ এক অমোঘ বাস্তবতার মুখোমুখি। কতটা অপরিপক্বতা থাকলে কেউ কেউ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ বলতে পারেন!

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে চেতনার নামে লুণ্ঠিত করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ব্যক্তি স্বার্থপরতাও। এর রেশ ধরে সৃষ্টি হয় দলীয় বিভক্তি। যার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় সামাজিক বিভক্তি। ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার ও লাগামহীন লুটপাট। এ নিয়ে আলোচনা বা বিতর্কের চেয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণে সবার ঐক্য ও একনিষ্ঠ লক্ষ্য স্থির করাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর-উত্তমের দেখানো পথ ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ দর্শন এবং ‘১৯ দফা’ কর্মসূচিই আমাদের সামনে অন্যতম প্রধান মুক্তির উপায়। যার ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নই হবে প্রধান পদক্ষেপ।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শুধু অস্ত্রের লড়াই ছিল না। এটি ছিল আমাদের জাতীয় পরিচয়, ভাষা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের জন্য লড়াই। একজন কৃষক, একজন ছাত্র, একজন গৃহিণী-প্রত্যেকেই এ যুদ্ধে ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশমাতৃকার জন্য এ ত্যাগ ছিল কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়, বরং সমষ্টিগত মুক্তির লক্ষ্যে।

বর্তমান প্রজন্মের সামনে একাত্তরের আকাঙ্ক্ষাকে চেতনার নামে ইতিহাসের পাতায় শুধু স্মৃতিসৌধ ও তাদের দলীয় পারিবারিক কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদ। একটি শোষণমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ক্ষমতার স্বার্থ রক্ষা করে চলাই ছিল তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা কল্পনা করেছিলেন এমন একটি বাংলাদেশের, যেখানে মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছাবে। তৈরি হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন