সেদ্ধ-নিষিদ্ধ, রিফাইন্ড-অরিজিনাল বিতর্ক

দেশ রূপান্তর মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৪

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আলাপের সমান্তরালে জরুরি অবস্থা জারি, শেখ হাসিনার ফিরে আসা, ড. ইউনূসের রিজাইন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার গ্রেপ্তারসহ গুজবে বাজার গরম। সেই সঙ্গে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনের শোরগোল। ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ আসবে, না অরিজিনাল আওয়ামী লীগ ফিরবে সেই সিদ্ধান্তই বা কার? আওয়ামী লীগকে ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে নাএ তত্ত্বের উদ্ভাবকই বা কে? বলার অপেক্ষা রাখে না, নানান চাপে-তাপে সেদ্ধ দশা যাচ্ছে আওয়ামী লীগে। পাপও কম নয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।


কিন্তু দলটির নেতৃত্বের মধ্যে যারা হত্যাসহ মানবাধিকারবিরোধী অপরাধে জড়িত তাদের বিচার হবে এমন অভিপ্রায় জানানোর পর নতুন করে জমেছে বিতর্ক। বিএনপির অবস্থান আওয়ামী লীগ বা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এ ব্যাপারে স্পষ্ট যুক্তি তাদের। জামায়াতসহ ডান-বামের কয়েকটি দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে একাট্টা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কোনো পর্যায় থেকে, সংশোধিত বা রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠন বিষয়ে কথা নেই। তারা ভুল করেছে বা ভুল সংশোধন করতে চায় এখন পর্যন্ত এমন বার্তা দেয়নি। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন থেকে ১৯৯৬ সালে অতীতের ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ এবং মাত্র একবারের জন্য ক্ষমতা দেওয়ার আবদারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ কয়েকবার রিফাইন্ড হয়েছে নিজেদের মতো। নিষিদ্ধের প্রশ্ন এসেছে এবারই। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা সম্ভব। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ ট্রাইব্যুনালের হাতে আছে। তবে, বিচার প্রশ্নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। এদিন আদালতে দাখিল করা হয়েছে আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত রিপোর্ট। জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম কোনো মামলার তদন্ত রিপোর্ট।  ঈদের পর আরও ৩-৪টি মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে, যার মধ্যে থাকবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্ত রিপোর্টও। তথ্য মোটামুটি পরিষ্কার। কিন্তু, এ নিয়ে পরবর্তী অ্যাকশন বা পরিণতি কী?


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও